ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজি ও পেঁয়াজের দামের তাণ্ডব চলমান!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
সবজি ও পেঁয়াজের দামের তাণ্ডব চলমান! বাজারে সবজির সরবরাহ প্রচুর হলেও দাম কমছে না; ছবি- সুমন শেখ

ঢাকা: কাঁচাবাজারে ও পেঁয়াজের দামের তাণ্ডব গত কয়েক মাস ধরে দেখে আসছেন ক্রেতারা। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে এসেও এই তাণ্ডব চলমান রয়েছে।নিত্যপ্রয়োজনীয় সবজির কোনোটিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কাঁচাবাজারে। অন্যদিকে পেঁয়াজের দাম চলছে ৬০ ও ৮০ টাকা করে। সব মিলিয়ে বাজার দরে ক্রেতাদের জন্য এই মুহূর্তে কোনো সুখবর নেই।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর হাতিরপুল, শুক্রাবাদ ও ধানমন্ডি ১৫ নাম্বার কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি ধনিয়াপাতা ১৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, আলু ২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ৩৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুলের সবজি বিক্রেতা সোহেল বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম আগের মতোই রয়ে গেছে। শীতের সবজিও বেশি দাম দিয়ে কিনে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রাবাদ কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মাসে সবজির দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। তবে আগামী মাসের শুরুর দিকে দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা নিজেরাও এখন বাজারের মতিগতি বুঝতেছি না। কারণ শীতে সব সময় তুলনামূলক ভাবে সবজির দাম কম থাকে, কিন্তু এখন উল্টো হচ্ছে।

সবজি ও পেঁয়াজের বাড়তি দাম নিয়ে ক্রেতাদের ক্ষোভের শেষ নেই। তারা বলছেন, এতো দিন শুনে আসছিলাম শীত আসলে সবজির দাম কমবে, কিন্তু বাজারে তো দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। আর পেঁয়াজের দাম আদৌ কমবে কিনা কে জানে।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা মো.দিদার বাংলানিউজকে বলেন, বাজার করতে আসলে কাঁচাবাজারে আর যেতে ইচ্ছে করে না। এতো দাম দিয়ে সবজি এর আগে কখনো কিনিনি। শীতের সবজিও বাজারে এসে গেছে কিন্তু দাম বেশি। কমতির কোনো লক্ষণ নেই।

ধানমন্ডি ১৫ নাম্বার কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা মো.সিয়াম বাংলানিউজকে বলেন, সবজি  ও পেঁয়াজ কিনেই পকেটের টাকা শেষ হয়ে যায়। এখন বাজার করবো কিভাবে। অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে সবজি ও পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দিতে হবে। বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বিক্রি হচ্ছে আগুন দামেই; ছবি- সুমন শেখএদিকে চালের বাজারে দীর্ঘমেয়াদ ধরে চলা তাণ্ডব এখনো চলমান। প্রতি কেজি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, মিনিকেট  ৬২ টাকা, বিআর-২৮ কেজিপ্রতি ৫০-৫৫ টাকা ও স্বর্ণাও পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়।

অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা, আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা করে কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও মাছ মাংসের  দাম।

মাছের সর্বশেষ বাজার দর প্রতিকেজি কাতল মাছ ২৮০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১৩০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-৩০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিংমাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা ও বোয়াল ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজার রয়েছে গত সপ্তাহের দর অনুযায়ী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০-৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৭
এমএসি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।