বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুদকের নির্ভরশীল একটি সূত্র বাংলানিউজকে বিষয়টি জানায়।
সূত্রটি বাংলানিউজকে জানায়, দেশে বিদ্যমান নোটবই (নিষিদ্ধকরণ আইন) ১৯৮০ (১৯৮০ সালের ১২ নম্বর আইন) থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কিছু কর্মকর্তা নিয়মিত মাসোয়ারা (অনৈতিক আর্থিক লেন-দেন) নিচ্ছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম আকস্মিকভাবে নীলক্ষেতের হযরত শাহজালাল মার্কেট, বাবুপুরা মার্কেট, বাকুশাহ মার্কেট, ইসলামীয়া মার্কেটের বিভিন্ন বইয়ের দোকানে অনুসন্ধান চালায়।
আরও জানা যায়, অনুসন্ধান অভিযানে বাজারের প্রতিটি দোকানে অননুমোদিত, নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ২য় থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত বাজারে প্রাপ্ত গাইড বইয়ের অন্যতম প্রকাশনী সংস্থা হলো- পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, নবদূত, জননী, পপি ও জুপিটার।
৯ম ও ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত বাজারে প্রাপ্ত গাইড বইয়ের প্রকাশনী হলো- পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, রয়েল, আদিল, কম্পিউটার, জুপিটার। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য গাইড বইয়ের প্রকাশনী হিসেবে বাজারে লেকচার, পাঞ্জেরী, জ্ঞানগৃহ, জুপিটার, পপি, মিজান লাইব্রেরি, কাজল ব্রাদার্স, দি রয়েল সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন্সের বই পাওয়া যাচ্ছে। এসব বই টেস্ট পেপার, সহায়ক বই, মেড ইজি বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
দুদক বলছে, শ্রেণিভিত্তিক গাইড বইয়ের পাশাপাশি ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির বিভিন্ন গাইড বই এবং প্রফেসর’স, ওরাকল, এমপিও, থ্রি ডক্টরস ও সাইফুর’স নামে চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গাইড বাজারে রয়েছে। যদিও দেশে ১৯৮০ সালের নোট বই নিষিদ্ধকরণ আইন বিদ্যমান। আর এই আইন অনুসারে গাইড ও নোটবই ছাপা এবং বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এছাড়া ২০০৮ সালে নির্বাহী আদেশে নোটবই ও গাইডবই নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু দেশে নোট-গাইড নিষিদ্ধের আইন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সব শ্রেণির নোট গাইড প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দুদক টিম। পাশাপাশি এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে যে সব প্রকাশনা সংস্থা অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন তাদের বিষয়েও প্রাথমিভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৭
এসজে/এএ