ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নতুন বছরে স্থিতিশীল বাজার চান ক্রেতারা

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
নতুন বছরে স্থিতিশীল বাজার চান ক্রেতারা লালবাগের কাঁচাবাজারে সবজির দোকান/ ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: গেল বছরজুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে মানুষের মধ্যে ছিল নাভিশ্বাস। সারা বছর ক্রেতাদের ভুগিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দর। চাল-ডাল, পেঁয়াজ-মরিচ, সবজিসহ অধিকাংশ পণ্যের দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া।

কখনও দাম বেড়েছে উৎপাদন নষ্ট হওয়ায় আবার কখনও বেড়েছে আমদানি কমে যাওয়ায়। এসব সুযোগ নিয়ে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে মুনাফা লুটেছে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট।

গত বছরের মতো ভুক্তভোগীরা হতে চান না সাধারণ মানুষ। নতুন বছরে নিত্যপণ্যের দাম যেন আকাশচুম্বি না হয়ে স্থিতিশীল ও বাজার দরে নতুন বছর পার করতে চান তারা।

সোমবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর লালবাগের কাঁচাবাজারে গিয়ে ক্রেতা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা হয়।  

খুচরা বাজারের ঘুরে জানা যায়, কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অন্যদিকে কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা, পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।

পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দর সম্পর্কে লালবাগ কাঁচা বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে যে পরিমাণে দেশি নতুন পেঁয়াজ আসছে তা চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট নয়। অন্যদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের চালানও স্বাভাবিক না। তাহলে তো বাজার দর চড়া থাকবেই।

তিনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত দেশি নতুন পেঁয়াজ বাজারে পর্যাপ্ত না আসবে এবং পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক না হবে সেই পর্যন্ত দাম কমবে না।
লালবাগের কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্যের একটি দোকান/ ছবি: জিএম মুজিবুরএকই বাজারের চাল বিক্রেতা রুবেল মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, চালের বাজার আগের মতোই আছে। দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বোরো মৌসুমের আগে দাম কমার বিষয়ে কিছুই বলা যাবে না।

লালবাগ কাঁচাবাজারের ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সারা বছরই বাজার দর আমাদের অনেক ভুগিয়েছে। কিন্তু নতুন বছরে আমরা বাজার দর সহনীয় পর্যায়ে চাই।

বাজার করতে আসা আরেক ক্রেতা সোহেল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সবজিসহ অন্যকিছু পণ্যের দাম ঠিক থাকলেও গত বছরের মতো এখনো তাণ্ডব চালিয়েছে যাচ্ছে পেঁয়াজ ও চাল। এ দুটি পণ্যের দাম কমা না পর্যন্ত নতুন বছরেও বাজার দর স্থিতিশীল হবে না ক্রেতাদের জন্য। নতুন বছরের প্রথম দিনও সবজির বাজার ছিলে স্থিতিশীল।

সর্বশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন ৩০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, সিম ২৫ টাকা, মূলা ১৫ টাকা, ধনিয়াপাতা ১০০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ টাকা, দেশি টমেটো ৬০ টাকা ও আমদানি করা টমেটো ৮০ টাকা, দেশি কাঁচা টমেটো ৩০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, শশা ৩০-৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ২০ টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ২০ টাকা, বরবটি কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা এক আঁটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক প্রতি আটি ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে সর্বশেষ খুচরা বাজার দর অনুযায়ী দেশি রসুন কেজি প্রতি ৬০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৭০ টাকা, চিনি ৫০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ৮০ টাকা এবং আমদানি করা মসুর ডাল ৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসে দাম: 
প্রতি কেজি কাতল মাছ ১৫০-২২০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১২০ টাকা, রুই মাছ ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিংমাছ ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০/৫০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

মাংসের বাজারও রয়েছে গত সপ্তাহের দর অনুযায়ী। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪২০-৪৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কক মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এমএসি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।