ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভ্যাট আইন বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
ভ্যাট আইন বাস্তবায়নই বড় চ্যালেঞ্জ

ঢাকা: আগামীতে ভ্যাট আইন বাস্তবায়নকেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নতুন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) নতুন এনবিআর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  

মোশাররফ হোসেন বলেন, এনবিআর বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজস্ব আদায়ে সফলতা দেখিয়েছে।

অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই বাজেটের সিংহভাগ অর্জন করতে হচ্ছে। পাশাপাশি ভ্যাট আইনে যেসব সমস্যা রয়েছে কিংবা ভ্যাট আদায়ে যে সমস্যাগুলো দেখা দিচ্ছে সেগুলো সমাধান করাটাও জরুরি।  

তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করবো এনবিআরের যে সব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে। অন্যদিকে দেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখতে। কেন না দেশের জনগণ যেভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে চলছে সেটা যদি অব্যাহত না থাকে তাহলে রাজস্ব অর্জন সম্ভব হবে না।  

এদিকে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশ জারির মাধ্যমে দুই বছরের চুক্তিতে মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে নিয়োগ দিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর নরসিংদীর সন্তান মোশাররফ ১৯৮১ সালের বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সেতু বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব পদে নিয়োগ পান। একই বছরের ২৯ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন তিনি।

এ দায়িত্ব পালনকালে পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজ পাইয়ে দিতে কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর বনানী থানায় মোশাররফ হোসেনসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার পর মোশাররফ হোসেনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করা হয়।

ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর গণপূর্ত ভবনের সামনে থেকে মোশাররফকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে কয়েক দফায় রিমান্ড মঞ্জুর করে পরে কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জামিন পান মোশাররফ হোসেন।

তদন্তের পর দুদক জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়নি। দুদক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পর ২০১৪ সালের অক্টোবরে পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলার অবসান ঘটে। সচিব মোশাররফ হোসেনসহ সাত আসামির সবাইকে অব্যাহতি দেয় আদালত। পরবর্তীতে কানাডার আদালতে দায়ের করা মামলাতেও খালাস পান আসামিরা।  

এরপর ২০১৪ সালের ২৬ অক্টোবর শিল্প সচিব পদে নিয়োগ পেয়ে মোশাররফ ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ওই বছরের ৩০ জুন অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়ার কথা ছিল মোশাররফের।  

তবে একদিন আগে ২৯ জুন পিআরএল বাতিল করে তাকে এক বছরের চুক্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব পদে রেখে দেয় সরকার। পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির মিথ্যা অভিযোগে জেলখাটা মোশাররফ হোসেনকে এ নিয়োগের মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হলো।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
এসজে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।