ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

শীত না যেতেই বেপরোয়া সবজি বাজার!

মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
শীত না যেতেই বেপরোয়া সবজি বাজার! সবজি বাজারে ফের আগুন!/ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: শীতের তীব্রতা কমতে না কমতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সবজি বাজার। দাম বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। পুরো শীতকাল দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে থাকার কথা থাকলেও গত সপ্তাহ থেকেই সবজির দাম বাড়তি। কুয়াশায় সবজি নষ্ট ও পরিবহন সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। সবজিভেদে এরইমধ্যে দাম বেড়েছে ১০-২০ টাকা। অস্থিরতা চাল-পিঁয়াজের দামেও

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরান ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়।  

সবশেষ সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি বেগুন ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায়, সিম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০, পেঁপে ২৫ টাকা, আলু ২৫ টাকা, মূলা ২০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, দেশি টমেটো ৫০ টাকা, ঢেঁড়শ ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আগের দামে আমদানি করা টমেটো ৮০, গাজর ৪০-৫০, টাকা করে শসা ৪০-৫০, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০-৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের সবজির খুচরা বিক্রেতা খুরশেদ  বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশায় প্রচুর পরিমাণে সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকটও। সব মিলিয়ে এখন বাজারে সবজির দাম বাড়তি।
অন্যদিকে দেশি পিঁয়াজের দামে নতুন করে লেগেছে মূল্যবৃদ্ধির হাওয়া।

গত সপ্তাহে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পিঁয়াজ এখন ৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা পিঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিতে।

পুরান ঢাকার নয়াবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা সুমন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম আবার আগের মতো হয়ে গেছে। পিঁয়াজ, সবজি, চাল- কোনো কিছুতেই ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। বাজার দর ধীরে ধীরে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

এদিকে চালের বাজারের অস্থিরতা এখনো বিরাজমান। চালের সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা,পারিজা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা।

অন্যদিকে সবশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ ও মাংসের দাম।

মাছের সর্বশেষ বাজার খুচরা বাজারের অথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ  ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ ঘণ্টা, জনুয়ারি ১৮, ২০১৮
এমএসি/এএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।