শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চার দিনব্যাপী তৈরি পোশাক খাতের এক্সেসরিজ পণ্যের প্রদর্শনী শেষে ‘বিজিএপিএমইএ এক্সপোর্ট ট্রফি’ প্রদান অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল বলেন, গার্মেন্টস খাত দেশের রফতানি আয়ের ৮২ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার উন্নয়নের সরকার, ব্যবসা বান্ধব সরকার। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ বিশ্বের প্রধান ২৮তম অর্থনৈতিক দেশ ও ২০৪১ সালে ২৩তম অর্থনৈতিক দেশ হবে বলে এরই মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে। তারা বলছে, ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিন বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তোফায়েল বলেন, আমরা দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছেন। অন্ধকারের মানুষদের আলোতে নিয়ে যাচ্ছি। এ বছরের শেষে হয়তো শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে। ২০২১ সালের মধ্যে আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হবো।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন ভুইয়া বলেন, গার্মেন্ট এক্সেসরিজ পণ্য কিছু দিন আগেও আমদানি হতো। এখন দেশে উৎপাদন হওয়ায় আমদানি বন্ধ হয়ে বরং রফতানি হচ্ছে। তাই রফতানিকারক বা ব্যবসায়ীরা যাতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারেন, সেজন্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশের ব্যবসা ও রফতানি বাড়লে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দেশের রাজস্ব বাড়বে। এক্ষেত্রে করের হার কি হবে, সেটা বড় কথা নয়। ভলিউম বাড়লে রাজস্বও বাড়বে। আপনারা ব্যবসার মাধ্যমে যেমন নিজেদের সমৃদ্ধ করছেন, দেশকেও সমৃদ্ধ করুন।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন বলেন, গার্মেন্টস সেক্টরে অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়) ব্যবস্থা চলে আসছে। এতে চার মিলিয়ন মানুষের কর্মসংস্থান চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। যদিও আমাদের ১০মিলিয়ন মানুষ এখন প্রবাসে আয় করছেন। তবু আমরা এ চ্যালেঞ্জ নেব। কারণ আমরা দেখিয়েছি, আমরা পারি। এ চ্যালেঞ্জও জয় করবো। আমরা মধ্যম আয়ের দেশ হলেও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বো। সেই চ্যালেঞ্জও নেবো। কারণ স্বল্পউন্নত দেশ (এলডিসি) থাকতে চাইনা, উন্নত আয়ের দেশ হতে চাই।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বিজিএপিএমইএ সভাপতি আব্দুল কাদের খান, মোয়াজ্জেম হোসেন মতি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৮
আরএম/এসএইচ