সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এখনও স্বাভাবিক পর্যায়ে না এলেও দাম কমতে শুরু করায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রেতারা। সরবরাহ বাড়ায় ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমায় বাজারে পর্যাপ্ত পণ্য আসছে।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ১৫ নম্বরেরর খুচরা কাঁচাবাজার ও মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের পাইকারি এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে।
পাইকারি বাজার ঘুরে জানা যায়, কেজি প্রতি দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে এ পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি।
যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা বিক্রি হয়, আর ভারতীয় পেঁয়াজ কেজিতে ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
তবে এখনও রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের অনেক দোকানে দেশি পেঁয়াজ ৫৫ ও আমদানি করা ৫০ টাকায় করে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের পাইকারি বিক্রেতা রাব্বানী মিয়া বাংলানিউজকে, গত সপ্তাহের শেষ থেকেই আমদানি করা পেঁয়াজের আমদানি মূল্য অনেক কমে গেছে। ফলে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারছি।
‘সামনের দিনগুলোতে পেঁয়াজের দাম কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে,’ বলেও জানান তিনি।
একই কথা জানালেন ধানমন্ডি-১৫ নম্বরেরর খুচরা বিক্রেতা ফখরুল ইসলামও।
এদিকে সপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ক্রেতারা সবজির বাজারে স্বস্তি পাচ্ছেন এ সপ্তাহেও। দাম না কমলেও গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও একই দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, সরবরাহও পর্যাপ্ত।
বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতিকেজি বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতিপিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
নাসির উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম ঠিক আছে, পেঁয়াজের দামও কমছে দেখলাম। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনও স্বাভাবিক হয়নি। অন্যদিকে চালের বাজার তো আগের মতোই চড়া।
প্রতি সপ্তাহের মতো এই সপ্তাহেও চালের বাজারেও নাজেহাল হতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সর্বশেষ চালের খুচরা মূল্য অনুযায়ী, কেজিপ্রতি নাজিরশাইল চাল ৬৮ থেকে ৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা, পারিজা কেজিপ্রতি ৪৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, চিনি, আদা, ডালের দামও। বাজারে দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। স্থিতিশীল দামে বিক্রি হচ্ছে ভোজ্য তেলও।
মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাস ১২০ টাকা, রুই ২৩০ থেকে ২৮০ টাকা, সিলভার কার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতিকেজি গরুর মাংস ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮
এমএসি/এমএ