ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইপিজেডে ইউনিয়ন কবে, জানতে চায় ইইউ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৮
ইপিজেডে ইউনিয়ন কবে, জানতে চায় ইইউ বৈঠকে উপস্থিত অতিথিরা

ঢাকা: রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা ইপিজেডে শ্রমিকদের ইউনিয়ন করতে দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার কী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, জানতে চেয়েছেন সফররত ইউরোপিয়ান সংসদীয় প্রতিনিধি দলের প্রতিনিধিরা।

বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নুর সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় সংসদীয় প্রতিনিধি দলের নেতার এ প্রশ্ন তোলেন।

দলের নেতা জিন ল্যাম্ববার্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধিরা শ্রম আইন সম্পর্কেও জানতে চান।

পরে সাংবাদিকদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ইপিজেডের বিষয়টি দেখভাল করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তবে ৮০ দশকে ইপিজেড প্রতিষ্ঠার সময় মালিকদের চাপে ইউনিয়ন করা অধিকার ব্যতিরেকে আইন করা হয়। এটি সংশোধন করে ইউনিয়ন করার অধিকার রেখে অচিরেই আইন করা হবে। যে কোনো কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিক চাইলেই তারা ইউনিয়ন করতে পারবে। বর্তমানে দেশে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কারখানায় ইউনিয়ন রয়েছে। তবে দেশে কারাখানা রয়েছে কয়েক লাখ।

শ্রম আইন সম্পর্কে ইইউ ও আইএমও ইউরোপীয় মান চায়। এটি বাংলাদেশ সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেন চুন্নু। তিনি বলেন, বাস্তবতা মেনে বাংলাদেশে কাজ করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দ্বিচারী ব্যবহার করে বাংলাদেশের সঙ্গে। তারা সব বিষয়ে তাদের মানে চায়। অন্যদিকে প্রতিযোগিতার দোহাই দিয়ে দিনে দিনে বাংলাদেশি পণ্যের দাম কমিয়ে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের কারখানা পরিদর্শন, ঝুঁকি নিরুপণ ও কারখানা নিরাপত্তা দেখভালের বিষয়ে ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করবে। এ লক্ষ্যে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) কাজ করে যাচ্ছে।

শ্রম আইন পরিবর্তন, শ্রমিক অধিকার বাস্তবায়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নে কি কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এমন প্রশ্নও করেন।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজ করা হয়েছে। গত বছর চারশ’ ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল এবং শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করা হয়েছে। শ্রমিকের অধিকার সংরক্ষণে যা কিছু প্রয়োজন সরকার তা করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম নিরসনে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও প্রতিমন্ত্রী প্রতিনিধি দলকে অবগত করেন।  

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অন্য সদস্যরা হলেন জেমস নিকলসন, রির্চাড করবেট, ওয়াজিদ খান, সাজ্জাদ করিম, ওয়াল্টার মাসুর, ইনহুয়া মারকুলেটা প্রমুখ।

বাংলাদেশের পক্ষে অন্যদের মধ্যে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব আফরোজা খান,অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মোস্তান হোসেন, অতিরিক্ত সচিব শিব নাথ রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪,২০১৮
কেজেড/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।