বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এডিবির জ্যেষ্ঠ পরিবহন বিশেষজ্ঞ সুনেয়ুকি সাকায়ি সাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, ঋণের অর্থ আধুনিক কোচ, ওয়াগন ও লোকোমোটিভ কিনতে ব্যয় করবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে ৪০টি নতুন ব্রডগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন), ১২৫টি লাগেজ ভ্যান এবং মালবাহী ট্রেনের জন্য এক হাজার ওয়াগন। এছাড়া এই ঋণে চালকদের জন্য বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।
মোট ৪৫ কোটি ৩৩ লাখ ডলার ব্যয়ের এই প্রকল্পের মধ্যে ৯ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। বাকি ৩৮ কোটি ডলার ঋণ অনুদান দেবে এডিবি।
জানা গেছে, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালের জুনে। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পণ্য ও যাত্রী পরিবহনে এক সময় একচেটিয়াভাবে রেলওয়ের প্রাধান্য থাকলেও অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ না হওয়ায় এবং বহু পুরনো বাহনের কারণে বাংলাদেশে রেলের ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়।
২০০৬ সালে রেলওয়ে ইম্প্রুভমেন্ট প্রোজেক্ট চালু করার পর এডিবি এ পর্যন্ত চার দফায় ২৮১ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮
এসএইচ/