ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়লো ৫ টাকা!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়লো ৫ টাকা! দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে-ছবি-দেলোয়ার হোসেন বাদল

ঢাকা: চলতি মাসের গত সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজার দর কমার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু চলতি সপ্তাহে এর বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বাজারে। কেজি প্রতি দেশি পেঁয়াজের দাম ৫ টাকা বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে আমদানি করা পেঁয়াজ।

মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, হঠাৎ করে মোকামে দেশি পেঁয়াজের যোগানের ঘাটতি দেখা দেওয়ায় দাম বেড়েছে। অন্যদিকে মূল্য বৃদ্ধির খবর শুনে ক্রেতারা হতাশ।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ানবাজারের পেঁয়াজের পাইকারি ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সর্বশেষ পাইকারি বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ যথাক্রমে ৪৩ ও ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এদিকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়।

পাইকারি বাজারে দাম আগের মতো থাকলেও খুচরা বাজারের দাম ৫ টাকা বৃদ্ধির বিষয়ে কারওয়ানবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সুমন বাংলানিউজকে বলেন, দেশি পেঁয়াজের যোগানে কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে এর প্রভাব দামে এখনও পড়েনি। তবে খুচরা বিক্রেতারা এই কথা শোনার পরেই কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে হাতিরপুল কাঁচাবাজারের খুচরা বিক্রেতা জসিম বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছে বলেই আমরা দাম বাড়িয়েছে। ৪২ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ ৪৫-৪৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশি পেঁয়াজ ৪২ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে গত সপ্তাহের মতোই চালের বাজারের মূল্য এ সপ্তাহেও দেখা গেছে। চালের সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, কেজি প্রতি নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকা, মিনিকেট ৬০-৬২ টাকা, বিআর-২৮ ৫২ টাকা, পারিজা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকায়।

স্থির রয়েছে চালের মূল্য-ছবি-দেলোয়ার হোসেন বাদলপেঁয়াজ ও চালের বাজারে ক্রেতারা অস্বস্তিতে থাকলেও সবজির বাজারে ক্রেতাদের জন্য স্বস্তি রয়েছে। সবজির খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি টমেটো ১০-১৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, সিম ৪০ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ৫৫ টাকা, ধনিয়াপাতা ৬০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩৫ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১৫ টাকা, লাল শাক, পালং শাক ও ডাটা শাক দুই আঁটি ১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

হাতিরপুল কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা খোকন বাংলানিউজকে বলেন, সবজির দাম ঠিকই আছে। কিন্তু পেঁয়াজের দাম ভেবেছিলাম এ সপ্তাহে এসে কমবে। তা না হয়ে শুনছি দাম নাকি আরও বেড়েছে।

সবজির দামে স্বস্তি-ছবি-দেলোয়ার হোসেন বাদলএদিকে ক্রেতাদের স্বস্তি দিতে অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, চিনি, আদা ও ডালের দাম। সর্বশেষ খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, দেশি রসুন ৮০ টাকা, আমদানি করা রসুন ৮৫ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১০০-১২০ টাকা ও আমদানি করা মসুর ডাল ৬০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে।

মাছ ও মাংসের দামও রয়েছে গত সপ্তাহের মতোই। মাছের সর্বশেষ বাজার খুচরা বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি কাতল মাছ ২২০ টাকা, পাঙ্গাশ ১২০ টাকা, রুই ২৩০-২৮০ টাকা, সিলভারকার্প ১৩০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা ও চিংড়ি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪০০-৪৫০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০-৭৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি মুরগি প্রতি পিস সাইজ অনুযায়ী ১৫০-২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এমএসি/আরআর 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।