এরমধ্যে চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ৭ হাজার ৬২৬ কোটি এবং তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ১ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ সর্বাধিক; মোট ৩ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য (এমপি) আবদুল মতিনের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মূলধন ঘাটতিতে পড়া রূপালী ব্যাংকের ঘাটতির পরিমাণ ৬৮৯ কোটি, জনতা ব্যাংকের ১ হাজার ২৭২ কোটি এবং বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ৫২২ কোটি টাকা।
তথ্যানুযায়ী, বেসরকারিখাতের তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ২৩১ কোটি, ফারমার্স ব্যাংকের ৭৪ কোটি এবং আইসিবি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ১ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন>>
** উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় বেড়েছে ৮.৮ শতাংশ
অর্থমন্ত্রী এমএ মুহিত জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে মোট ঘাটতি প্রভিশনের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকসমূহে ৭ হাজার ৫৬৭ কোটি টাকা প্রভিশন ঘাটতি ছিল। বেসরকারি ব্যাংকে উদ্বৃত্ত প্রভিশন রয়েছে ১ হাজার ৭৬ কোটি টাকা।
তিনি জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে শুরু করে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার পুনঃমূলধনীকরণ সুবিধা প্রদান করেছে, যা ইতোমধ্যে ব্যাংকসমূহের মূলধন হিসাবায়নে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকসমূহের পরিচালনা পর্ষদকে শক্তিশালী করে পুনর্গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বেসরকারি দি ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের মূলধন ঘাটতি পূরণে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী মুহিত জানান, ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন করা হয়েছে। এছাড়া আরও ১১০০ কোটি টাকা মূলধন বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক ও আরও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ও বিভিন্ন পন্থা অবলম্বনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদকে শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে পর্ষদ পুনর্গঠিত করে ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমপি সেলিম উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি অর্থবছরে অর্থাৎ গত বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৩১টি দেশ থেকে সর্বমোট ৬ হাজার ৯৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় শতকরা সাড়ে ১২ শতাংশ বেশি।
‘এরমধ্যে সৌদি আরব থেকে সর্বাধিক ১ হাজার ২০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। সংযুক্ত আরব অমিরাত থেকে ১ হাজার ১৩৮ মিলিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯৬২ মিলিয়ন, কুয়েত থেকে ৫২৬ মিলিয়ন, মালয়েশিয়া থেকে ৫০৪ মিলিয়ন, যুক্তরাজ্য থেকে ৪৯৮ মিলিয়ন এবং ওমান থেকে ৪৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে বাংলাদেশে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
এসএম/এমএ