গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজস্ব কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন। বেড়েছে মজুদ।
দেশের বাজারে প্রতিবছর তিন লাখের মতো এসি বিক্রি হয়। গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডে অত্যন্ত মেধাবী, উচ্চ প্রশিক্ষিত ও দক্ষ প্রকৌশলীদের নিয়ে গড়ে উঠেছে দেশের সর্ববৃহৎ এসি গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগ। তারা নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে বিশ্বের ল্যাটেস্ট প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে তৈরি করছে সঠিক বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) সম্পন্ন এসি। গ্রাহকদের চাহিদা মোতাবেক ওয়ালটন বাজারে আনছে সর্বাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ এসি।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি বলেন, স্থানীয় বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ডের চেয়ে উচ্চ গুণগত মানের এসি উৎপাদন করছে ওয়ালটন। দেশের বাজারে একমাত্র ওয়ালটনই দিচ্ছে সঠিক বিটিইউ এর নিশ্চয়তা। ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান যাচাই করে বাজারে ছাড়া হয়। এসির দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গোল্ডেন ফিন। সম্প্রতি ওয়ালটন এসিতে সংযোজন করা হয়েছে আয়নাইজার প্রযুক্তি। এটি ব্যবহারের ফলে রুম শীতল করার পাশাপাশি বাতাসকে করে ধুলো-ময়লা ও জীবাণুমুক্ত।
প্রকৌশলী রনি আরও জানান, নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা বাজারে নিয়ে এসেছে মোবাইল ফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য আইওটি বেজড স্মার্ট এসি। যা কিনা এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কতো? ভোল্টেজ লো না হাই? কম্প্রেসার কি ওভারলোডে চলছে? এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে। দেশের বাজারে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে। ওয়ালটন চলতি বছর স্থানীয় বাজারে আনছে সিলিং ও ক্যাসেট টাইপের এসি।
প্রতিষ্ঠানটির বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে দেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন তারা। ইন্টারনেটভিত্তিক মোবাইলফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ (দেড় টন) স্মার্ট এসির দাম ধরা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা। ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৬৩ হাজার ৫’শ টাকায়। ওয়ালটনের এসব এসি সাধারণ প্রযুক্তির তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। পাশাপাশি ১৮ হাজার ও ২৪ হাজার বিটিইউ’র আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ৪৯ হাজার ৯’শ ও ৫৬ হাজার ৯’শ টাকায়। ১৭,২০০ বিটিইউ ওয়ালটন এসি মিলছে ৪৩ হাজার ৯’শ টাকায়। আর ১২০০০ (এক টন) বিটিইউ’র ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৯’শ টাকায়।
স্থানীয় বাজারে এসির কনডেনসারে প্রথমবারের মত অ্যান্টি-করোসিভ হাইড্রফিলিক গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তির ব্যবহার করছে ওয়ালটন। এতে এসির স্থায়িত্ব আরও বাড়বে।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী তাপস কুমার মজুমদার বলেন, গোল্ডেন ফিন হলো এসির কনডেনসারে হিট এক্সেঞ্জারের পৃষ্ঠতলে ক্ষয় ও মরিচারোধক হাইড্রফিলিক আবরণ। যা ধুলো, ময়লা, বাতাসের আর্দ্রতা ও উষ্ণতার কারণে সৃষ্ট ক্ষয় রোধ করে। সেইসঙ্গে তা কনডেনসারে হিট এক্সেঞ্জারের স্থায়িত্ব ও কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি ব্যবহারের ফলে ক্রেতাকে ঘনঘন এসি পরিষ্কার বা মেরামতের ঝামেলা পোহাতে হয় না। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসিতে সেন্সর থাকায় ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা বুঝে সেই অনুযায়ী রেফ্রিজারেন্ট সরবরাহ করে এবং ঘর শীতল হয়ে গেলে কম্প্রেসার ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। প্রয়োজন অনুযায়ী তাপমাত্রা সরবরাহ করে বিধায় এতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। কম্প্রেসারের স্থায়িত্বও বাড়ে।
ওয়ালটন এসিতে রয়েছে ৬ মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিতে ক্রয়ের সুবিধা এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০১৮
এইচএ/