বুধবার (২১ মার্চ) গুলশানে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ ই আব্দুল মুহাইমেন এ তথ্য জানান।
যেসব খেলাপি ঋণ পাঁচ বছর পর্যন্ত আদায় করা সম্ভব হয় না, তা ব্যাংকের মূল খাতা থেকে বাদ দেওয়া হলো অবলোপন।
এর আগে অবলোপনযোগ্য খেলাপি ঋণের বিপরীতে শতভাগ নিরাপত্তা সঞ্চিত বা প্রভিশন সংরক্ষণ এবং অর্থঋণ আদালতে একটি মামলা করতে হয়। ২০১৭ সালে ব্যাংকের বার্ষিক অর্জন জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ইউসিবিএলের ২০১৭ সালে কর পরবর্তী সমন্বিত মুনাফার পরিমাণ ২৭২ কোটি ২৩ লাখ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৩.৬ শতাংশ বেশি।
২০১৭ সালে এককভিত্তিক ব্যাংকের কর পরবর্তী মুনাফার পরিমাণ ২৪৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, যা ২০১৬ সালে ছিল ২৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এছাড়া ইউসিবির ২০১৭ সালে সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় ২.৫৮ টাকা এবং সমন্বিত শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য ২৫.৪৯ টাকা। ২০১৬ সালে সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় ও সমন্বিত শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য ছিল যথাক্রমে ২.৪৯ ও ২৪.৫ টাকা।
২০১৭ সালের জন্য পরিচালনা পর্ষদ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বর্তমান বাজার মূল্যে লভ্যাংশের হার ৫.৫২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য উপস্থাপন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি এ ই আব্দুল মুহাইমেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইউসিবির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শওকত জামিল, আহসান আফজাল, আরিফ কাদরি, মোহাম্মদ মামদুদুর রশিদ এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সোহরাব মুস্তাফাসহ বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এক প্রশ্নের জবাবে এমডি বলেন, বিদেশি ঋণে বিনিয়োগ রয়েছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। এসব ঋণে কোনো খেলাপি নেই। সার্বিকভাবে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণও কিছুটা কমেছে। তবে লোকসানি শাখা রয়েছে ৯টি। যার সবগুলোই নতুন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
এসই/এএ