স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় থাকার পর বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট কমিটি এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মার্চ) রাজধানী হোটেল রেডিসনে ‘বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েশন ফর্ম এলডিসি স্ট্যাটাস: অপরচুনিটিস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক কর্মশালায় মন্ত্রী এ চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন।
চারটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মুহিত বলেন, আমাদের গতিশীলতা ধরে রাখতে প্রথমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাতকে সমানভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে।
দ্বিতীয় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধি। বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে যা যা করা দরকার সব করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় সম্পদ আমাদের আছে। আমাদের দেশীয় সম্পদের যথাযথভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছু কিছু এরিয়া আছে যেখানে যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়। এটা কন্টিনিউ করতে হবে। আর কিছু কিছু এরিয়ায় দেশীয় সম্পদের সদ্যবহার হয় না, এটা এখনই বন্ধ করতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এটাও যথাযথভাবে মোকাবেলা করতে হবে।
মুহিত বলেন, আমাদের চতুর্থ চ্যালেঞ্জ- সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ সামাজিক খাতে ভালো করছে। ফলে এর সুবিধাও আমরা ভোগ করছি। এটা ধরে রাখা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। আমি বিশ্বাস করি সামাজিক খাতে ভালো করার ফল সবাই ভোগ করছি। সামাজিক সুরক্ষাখাতে ভালো করলে সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি অর্জনেও ভালো করবো।
কর্মশালায় উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বেই আমাদের এ অর্জন সম্ভব হয়েছে। বর্তমান সরকারের কিছু সুদুরপ্রসারী পদক্ষেপের কারণে নারীরা সবখাতে এগিয়ে যাচ্ছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে যুদ্ধ করছেন। আমাদের কিভাবে টিকে থাকতে হবে, কিভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে, সেটা নিয়ে কাজ করছে। এরইমধ্যে দেশের মানুষ এবং রাজনীতিবিদদের সংকল্পে আমরা বড় অর্জন করে ফেলেছি। আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, এরমধ্যে অন্যতম এসিডিজি অর্জনে প্রতিবছর অতিরিক্ত ৬০ বিলিয়ন ডলার বাড়তি প্রয়োজন হবে। এজন্য প্রাইভেট খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। মনে রাখতে হবে প্রাইভেট খাত উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, সামনে আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গা সংকট। এই সংকট উত্তরণে সব দেশকে এগিয়ে আসতে হবে।
আন্তর্জাতিক এ কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম, বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমাদ।
এছাড়া জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক হাওলিয়াং জু-সহ এলডিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৮
এমআইএস/এসএইচ