তিনি জানান, সিআরআর সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত এখন থেকে কার্যকর হয়ে আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে।
তবে এ সিদ্ধান্তের সুফল পাওয়া যাচ্ছে কি-না তা আগামী জুনে রিভিউ করে দেখা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
রোববার (০১ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও-এ অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের (বিএবি) সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
ব্যাংক খাতের সংকট নিরসনে উদ্যোক্তাদের আয়োজন অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বিএবির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানসহ বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সুদের হার কমানোর চেষ্টা করছি আমরা। এরই অংশ হিসেবে বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানত ৫০ শতাংশ রাখা হবে। এরইমধ্যে অর্থমন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আর আজকের বৈঠকে বিএবি দাবি করেছিলো সিআরআর হার ৩ শতাংশ কমাতে। কিন্তু আমরা সবকিছু বিবেচনা করে, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে বিভিন্ন মহল থেকে সবার পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি সিআরআর হার সাড়ে ৬ শতাংশ থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে কমিয়ে আনা হবে। অর্থাৎ এই এক শতাংশ পরিমাণ টাকা ব্যাংকগুলো ব্যবহার করতে পারবে। এর ফলে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো বেসরকারি ব্যাংকগুলোর হাতে চলে আসবে। এতে তারল্য সংকট কমে গেলে সুদের হারও কমে আসবে। যেটা কার্যকর থাকবে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে ডিসেম্বরের আগে জুন মাসে তার প্রভাব পর্যালোচনা করা হবে। এ সময়ে যদি আরো কিছু সংযোজন বা বিয়োজন করতে হয় তা করা হবে।
এতো পরিমাণ টাকা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে দেওয়া হলে মূল্যস্ফীতি বাড়বে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সে আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, নো, ইমপসিবল, মুদ্রাস্ফীতি হবেই না। দেশে এমন কিছু হয়নি যে মুদ্রাস্ফীতি হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৮
জেডএস