রোববার (৮ এপ্রিল) দুপুরে টি প্লান্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টিপিটিএবি), শ্রীমঙ্গল-এর উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই আবেদন জানানো হয়। এতে স্বাক্ষর করেন সংস্থাটির সদস্য সচিব জহর তরফদার।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আগামী জানুয়ারির শেষে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শ্রীমঙ্গলে আনুষ্ঠানিকভাবে চা নিলাম শুরু হবে বলে গত ২৮ ডিসেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভায় সিদ্ধান্ত হয়। নিলাম কার্যটি শুরু করার জন্য ওই সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চা বোর্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত নিলাম কার্যক্রম শুরু হয়নি।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের ১৬৯টি চা বাগানের মধ্যে ১৪৭টি সিলেটে এবং ২২টি চা বাগান চট্টগ্রামে অবস্থিত। ১৪৭টি চা বাগান থাকার পরও সিলেটে কোনো চা নিলাম কেন্দ্র নেই। অথচ ২২টি চা বাগান থাকার পরেও চট্টগ্রামে ১৯৪৮ সাল থেকে চা নিলাম কেন্দ্র কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। মৌলভীবাজার জেলায় মোট চা বাগান রয়েছে ৯২টি।
টিপিটিএবি-এর সদস্য সচিব জহর তরফদার বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘সিলেটের চা সিলেট থেকে নিলাম করার জন্য নিলাম কেন্দ্র খুলে দিয়েছি। ’ আমরা এই উক্তিটির কার্যকর বাস্তবায়নের জন্য রোববার তার বরবার আবেদন করেছি।
জহর তরফদার আরও বলেন, আগামী ১০ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে একটি বিশেষ সভা রয়েছে। সভায় শ্রীমঙ্গলে চা নিলাম কেন্দ্র চালুর বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তের কার্যকর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে এ বিষয়ে উত্থাপিত একটি প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মৌলভীবাজারে আরও একটি চা নিলাম কেন্দ্র স্থাপন হবে’ ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ড এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেও শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়নে শুরু হয়েছে নানা জটিলতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৮
বিবিবি/আরআর