বুধবার (১১ এপিল) সন্ধ্যায় এলটিইউ আয়োজিত বৃহৎ করদাতা ইউনিট পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভায় দেশের বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ আশ্বাস দেন তিনি।
বৃহৎ করদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অভিযোগ ছিলো, কর-কর্মকর্তারা পরিদর্শনে গিয়ে বড় বড় কোম্পানির ব্যয় সংক্রান্ত ভাউচার গ্রহণ করেন না।
এলটিইউ কমিশনার বলেন, এখানে যারা কর দেন তার দেশের বড় বড় কোম্পানি। পরিদর্শকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ভাউচার নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না। কর আদায়ের ভালো পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ভালো পরিবেশ তৈরি হলে রাজস্ব আয় বাড়বে। এমন কোনো কোম্পানি নাই যারা আপিল করেননি। মামলায় না গিয়ে আলোচনা বা বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
তার কথার সূত্র ধরে অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া বলেন, সম্ভবত পরিদর্শকদের ভাউচার ‘ডিস-অ্যালাউ’ করার লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া থাকে। যত বেশি পারেন তারা ভাউচার বাতিল করে দেন। পুরাতন ধ্যান-ধারনা থেকেই এটি করে থাকে। তবে এখন থেকে এটি করা হবে না।
সভায় ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসাইন বলেন, পরির্দশকদের বিভিন্ন কারণে খরচের বিল গ্রহণ করেন না। মনে হয় তাদের কর আদায়ের কোনো লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। যার ফলে তারা ভাউচার ডিস অ্যালাউ করেন। এমন হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে এনবিআর চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ১১ এপিল, ২০১৮
এমএফআই/এমজেএফ