বাংলা নববর্ষ-১৪২৫ উপলক্ষে রোববার (এপ্রিল ১৫) দুপুরে বিজয়নগরে ‘বৈশাখ ও রাজস্ব হালখাতা’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আয়কর দেওয়া নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কর অঞ্চল-৪ প্রধান রাধেশ্যাম রায়ের সভাপতিত্বে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং কর কমিশনার সিরাজুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, জিয়া উদ্দিন মাহমুদ এবং মাহবুর রহমানসহ এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তরা উপস্থিত ছিলেন।
ট্যাক্স দিতে এলেই ‘এনবিআর ধরবে’ সবার মধ্যে এই ভয়-ভীতি রয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ট্যাক্স দিতে এসে কোনো মানুষ হয়রানির শিকার হবে না। কোনো ব্যবসায়ী কিংবা করদাতা প্রতিষ্ঠান এমনকি কোনো সাধারণ মানুষ যদি সঠিক কর দিতে আসেন, আর তখন এনবিআরের কোনো অসাধু কর্মকর্তার ভালোভাবে গ্রহণ না করে উল্টো ফাইল আটকে অনৈতিক লেনদেনের অফার কিংবা হুমকি-ধামকি দেয়। তবে আমাকে জানাবেন, আমি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিবো। আমি আশা করছি অন্তত, আমি যে কয়দিন এনবিআরের দায়িত্বে আছি, ততোদিন কেউ অন্যায় করতে পারবে না।
দেশের স্বার্থে সবাইকে সাহসের সঙ্গে কর দেওয়া আহ্বান জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, তার জন্য করবান্ধব সংস্কৃতি গড়ে তুলতেই করদাতাদের সম্মানে এনবিআর এই বছর হালখাতার আয়োজন করেছে। যেখানে করদাতারা স্বেচ্ছায় তাদের বকেয়া টাকা দিচ্ছেন। আমরা তাদের সম্মানিত করছি। মিষ্টি মুখ করাচ্ছি।
‘কর দাতাদের আয়করে দেশ চলছে। দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাচ্ছে। দেশের জিডিপির দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। আগামী বছরে এটা দাঁড়াবে ৮ শতাংশে। তার জন্য প্রয়োজন হবে কর আহরণের’।
এর আগে সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী সব প্রতিষ্ঠানকে সঠিকভাবে কর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে কর অঞ্চল ০৮ এবং ১৪ এর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সঠিকভাবে কর দিলে আল্লাহর কাছে মাফ পাবেন। ব্যবসারও উন্নতি হবে। এতে আমাদের ১৫ শতাংশ কর আহরণের যে টার্গেট রয়েছে সেটিও পূরণ হবে। বর্তমানে কর আহরণ হচ্ছে ৯-১০ শতাংশ হারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ