এছাড়া যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরাসহ বেশকিছু স্থানে ইরি ধান কাটা শুরু হয়ে গেছে। এটা কম করে আরও তিন সপ্তাহ ধরে চলবে।
রোববার (১৫ এপ্রিল) বিএনপি কাঁচা বাজারে ইলিয়াস স্টোরে মোটা চাল আগের চেয়ে তিন টাকা কমে ৩৯ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। দুই টাকা কমে রশিদের মিনিকেট ৬২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের দাম কমা প্রসঙ্গে ইলিয়াস হোসেন বলেন, নতুন ধান কাটা শুরু হয়েছে তাই চালের দাম কমছে। নতুন ধান ওঠার কারণে মিল মালিকেরা চাল আর ধরে রাখছে না।
একই অবস্থা দেখা গেছে মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা মার্কেটে। এখানে দুই টাকা কমে সাগর মিনিকেট ৬০ থেকে ৬১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মোটা বিআর আঠাশ চালে ৩ টাকা কমে ৪২ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাদারীপুর রাইস স্টোরের মালিক ধীরেন বাবু বাংলানিউজকে বলেন, নতুন ধান উঠলে চালের দাম কমবে, এটাই স্বাভাবিক। সামনে ধানের দাম পড়ে যাবে এই আশায় সবাই বাজারে ধান ছাড়তে শুরু করেছে।
পাইকারি বাজারেও নিম্নমুখী চালের দাম। চালের পাইকারী আড়ৎ মোহাম্মদপুর কৃষিমার্কেটে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা কমে প্রতিকেজি মোটা চাল ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রামীণ মিনিকেটে দুই টাকা কমে ৫৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রশিদের মিনিকেটও দুই টাকা কমে ৬০ টাকা ৫০ পয়সা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষিমার্কেটের মেসার্স থ্রি স্টার রাইস এজেন্সির মালিক মমিনুল হক বলেন, নতুন ধানের কারণে চালের দাম পড়তির দিকে। তবে সরকার মোটা চালে ৩৮ টাকা দাম বেঁধে দেয়ায় কমার হারে ধীরগতি। ২০/২২ দিনের মধ্যে ধান কাটা শেষ হবে। তখন বাজারে স্থিতি আসবে বলে আশা করছি। মোটা ও চিকন চালের দাম প্রতিদিন একটু একটু করে কমছে।
মিল মালিকেরা বলছেন, এ মুহূর্তে মোটা চালের দামই বেশি কমছে। এক সপ্তাহ পর চিকন চালের দামও একই হারে কমবে।
রশিদ অটো চালকলের প্রধান সেলস ম্যানেজার তারেক আনাম বলেন, এখন ইরি ধান কাটার সিজন শুরু হয়েছে। তাই মোটা ধানের দাম কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা কমতি। উত্তরবঙ্গসহ দেশের বেশকিছু জেলায় ইরি ধান কাটা শুরু হয়েছে। আশা করছি একই হারে এক সপ্তাহ পর মিনিকেট চালের দাম কমবে। তারপরও মোটা চালের দাম কমার প্রভাব চিকন চালেও পড়ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৮
এমআইএস/জেএম