ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বঙ্গবাজারে খুচরায় খুশি পাইকার, কম মূল্যে ক্রেতা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২০ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০১৮
বঙ্গবাজারে খুচরায় খুশি পাইকার, কম মূল্যে ক্রেতা বঙ্গবাজারের পাইকারি দোকান, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের সবচেয়ে বড় রেডিমেড পোশাকের পাইকারি বাজার হিসেবে খ্যাত রাজধানীর বঙ্গবাজার এলাকা। এই এলাকায় এনেক্স টাওয়ার কমপ্লেক্স, মহানগর কমপ্লেক্স, ঢাকা সুপার কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ কমপ্লেক্সের নাম-ডাক সর্বত্র।

এখানে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে খুচরা বিক্রেতারা পাইকারি দরে বিভিন্ন ধরনের পোশাক-আশাক ও পণ্য সামগ্রি কিনতে আসেন। কিন্তু আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে এবার এ বাজারে পাইকারি বিক্রিতে যেনো খরা চলছে।

এ কারণে অধিকাংশ দোকানিরাই এখন খুচরার দিকে ঝুকছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন পাইকারির চেয়ে খুচরা বিক্রির পরিমাণ বেশি, তাই খুচরাতেই খুশি তারা। একইসঙ্গে পাইকারির কোনো ক্রেতা আসলে পাইকারিও বিক্রি করছেন। অন্যদিকে তুলনামূলক কম মূল্যে পোশাক পাওয়ায় খুশি ক্রেতারাও।

মহানগর কমপ্লেক্সে পাইকারি দোকান রাবেয়া ফ্যাশন। এখানে সব ধরনের জিন্স ও গ্যাবার্ডিন প্যান্ট পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এখন খুচরা বিক্রিতেই খুশি। রাবেয়া ফ্যাশনের মালিক রিফাত বাংলানিউজকে বলেন, বছরের অন্য ঈদের তুলনায় এবার বেচা-বিক্রি কম। তুলনামূলক বিক্রি কম হওয়ায় এখন খুচরা বিক্রি করছি। এতে পাইকারির চেয়ে কিছুটা লাভও বেশি।

জিন্স প্যান্টের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি জানান, জিন্স পাইকারি ২২০ থেকে ৭শ’ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা কিনতে হলে ৩শ’ থেকে ৯শ’ টাকার মধ্যে ক্রেতারা কিনতে পারবেন। এছাড়া গ্যাবার্ডিন প্যান্ট ২শ’ থেকে ৬৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। খুচরা কিনতে হলে ৩শ’ থেকে ৮শ’ টাকার মধ্যে পাবেন ক্রেতারা।
বঙ্গবাজারের পাইকারি প্যান্টের দোকান, ছবি: বাংলানিউজশফিক নামের এক ক্রেতা বলেন, রোজার প্রথম দিকে এ বাজারের পাইকারি বিক্রি হলেও এখন এখানে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া তুলনামূলক এখানে কিছুটা দাম কম হওয়ায় প্রতিবছরই আসা হয়।

এ বাজারে পাইকারি দরে টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ৫শ’ টাকার মধ্যে। বাচ্চাদের পোশাক পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা থেকে ৫২০ টাকা আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২শ’ থেকে ৮শ’ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ধরনের শাড়ি পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩শ’ টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। যাকাতের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ২শ’ টাকা থেকে ৭শ’ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন ধরনের লুঙ্গি ১২০ টাকা থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। থ্রি-পিস ২৫০ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সিহাব শাড়ি সেন্টারের ম্যানেজার মোহাম্মদ সজিব বলেন, আমাদের এখানে দেশি ও ইন্ডিয়ান শাড়ি ক্রেতারা পাইকারি ও খুচরা দরে কিনতে পারবেন। সীমিত লাভে বেচার কারণে ক্রেতার আগমণ বেশি থাকে। তবে এখনও জমে ওঠেনি। অনেকে বেতন-বোনাস না পাওয়ায় আসতে পারছেন না। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে ঈদের বাজার জমে উঠবে।

শাড়ির দামে কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে জর্জেটের ওপর কাজ করা শাড়ি ১ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকার পাওয়া যাচ্ছে। ধুপিয়ান ১ হাজার ৬শ’ থেকে ৪ হাজার, ইন্ডিয়ান বেনারসি ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা, কাতান ১ হাজার ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা ও বেনারসি বাংলাদেশি ২ থেকে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৮
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।