সোমবার (১৮ জুন) রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় অবস্থিত সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা কার্যালয়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রূপালী ব্যাংকের করপোরেট শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির পর সোমবার ব্যাংক খুলেছে।
এছাড়া দু’টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কিছু টাকা জমা হয়েছে। এরকম দু’একটি বড় লেনদেন ছাড়া সঞ্চয়কারীদের জমা বেশি হচ্ছে।
সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাসুমা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটির পর গ্রাহকের উপস্থিতি মোটামুটি। আগের তুলনায় বেশি বলা যাবে না। সোনালী ব্যাংকে অন্য সব ব্যাংকের চেয়ে গ্রাহক সব সময় একটু বেশিই থাকে।
সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন সঞ্চয় স্কীমের টাকা জমাকারীদের সংখ্যাই অন্যান্য গ্রাহকের তুলনায় বেশি।
ব্যাংক এশিয়ার পল্টন শাখায় গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি কাউন্টারে পাঁচ-ছয়জন গ্রাহক লেনদেনের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। এ শাখার কর্মকর্তারা বলেন, গ্রাহক আসছেন মোটামুটি। কমও না, আবার খুব বেশি না। ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে লেনদেন ও গ্রাহকের উপস্থিতি।
তবে ঈদের ছুটির পর ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি দেখা গেছে আগের মতোই। সবাই একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরফান আলী বলেন, ঈদের ছুটির কারণে আগের তুলনায় গ্রাহকের উপস্থিতি কম। মঙ্গলবার (১৯ জুন) থেকে পুরোদমে চলবে ব্যাংকিং সেবা।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেডের (এবিবি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঈদের আগে শুক্রবার বেচাকেনার টাকা ব্যবসায়ীরা জমা দিচ্ছেন। ঈদের পরে আজ ব্যাংক খুললেও গ্রাহকের উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে মঙ্গলবার থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৯ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৮
এসই/আরবি/