বৃহস্পতিবার (২১ জুন) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০১২ সালের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসারে এ ধরনের অফ-ব্যালেন্স শিট দু’টি ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এর ফলে প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখার বাধ্যবাধকতায় কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে তফশিলি ব্যাংকগুলোকে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অফ-ব্যালেন্স শিট উপাদান (সূচক) হিসেবে গ্রাহকের হয়ে বিল সংগ্রহ এবং কোনো গ্রাহকের হয়ে ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদানে ব্যাংকগুলোকে ১ শতাংশ হারে প্রভিশন রাখতে হয়। তবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, গ্রাহকের হয়ে বিল সংগ্রহে ব্যর্থতা ব্যাংকগুলোর কোনো ব্যর্থতা নয়। কোনো গ্রাহক বিল দেওয়ায় ব্যর্থ হলে তার দায় ব্যাংককে নিতে হচ্ছে না।
একারণে বিলের বিপরীতে প্রভিশন রাখার দরকার নেই। একইভাবে ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতেও প্রভিশন শর্ত শিথিল করা হলো। কারণ একক কোনো ব্যাংক গ্রাহকের গ্যারান্টি থাকে না। এক ব্যাংকের গ্যারান্টির বিপরীতে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলো গ্যারান্টিও দিচ্ছে একই গ্রাহককে।
আমানতকারীদের সুরক্ষা দিতে ঋণের শ্রেণিমান বিবেচনা করে ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত হারে প্রভিশন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাধারণত ঋণের বিপরীতে দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভিশন রাখতে হয়। নিম্নমান ঋণের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ, সন্দেহজনক ঋণে ৫০ শতাংশ এবং মন্দ ঋণে শতভাগ প্রভিশন রাখতে হয়। ব্যাংকগুলোকে অর্জিত মুনাফা থেকে এ প্রভিশনিং করতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৮
এসই/ওএইচ/