শুক্রবার (৬ জুলাই) মিরপুর-১, ১০, শেওড়াপাড়া ও বউবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মাঝারি সাইজের ইলিশ ৬শ’, বড় ইলিশ ১৮০০, ছোট আইড় ৮শ’, বড় আইড় ১১০০, বড় চিংড়ি ১ হাজার, গুড়া চিংড়ি ৫শ’, রুই ৬শ’, বেলে ৭শ’, পাবদা ৫শ’, বাটা ১৬০, সরপুঁটি ১৬০, ছোট সুরমা ২৬০, বড় সুরমা ৩৫০, ছোট কই ১৮০, বড় কই ২শ’, ছোট শৈল ৪৫০, বড় শৈল ৮শ’ ও মাগুর মাছ ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি বিক্রেতাদের মতে, সারাদেশ থেকে মাছের চালান কম আসছে। আর এ কারণেই খুচরা বিক্রেতাদের নির্ভর করতে হচ্ছে পাইকারি বিক্রেতাদের উপর। এক্ষেত্রে তাদের কোনো বক্তব্য না থাকলেও মাছের ক্রেতার আকাল পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তারা। তবে মাছের চালান কেন কম আসছে সে ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিরপুর-১ পাইকারি বাজারের মাছ বিক্রেতা রিপন বলেন, ‘আমরা মাছ খুঁইজ্জাও পাইতাছি না। আবার এহন মাইনষেও মাছ কিনতে চায় না। সব মিলায়ে আমাগো খুব খারাপ দিন যাইতাছে। বাজারে এহন যা মাছ আছে তা সব চাষের। দুই একটা সামুদ্রিক মাছ আছে। তাও কম। তয় ইলিশের চালান ভালো। বর্ষা শুরু হইছে কয়দিন আগে। নদীর মাছ মনে হয় ধরা পড়বো আরও কয়দিন পর। ’
বউবাজার এলাকার খুচরা মাছ বিক্রেতা ইয়াসির বলেন, ‘এই এলাকায় মাছের লাইগা এই বাজারটাই বিখ্যাত। সবাই মাছ কিনতে এহানেই আহে। কিন্তু গত সপ্তাহ থেকা মাছের মানুষ আইতাছে না। অনেক মাছ বরফে রাখতে রাখতে দেখতে আর তাজা দেহা যায় না। মাইনষের মাছ দেখলেও তাই পছন্দ হয় না। উল্টা আমাগো বরফের খরচ বাইড়া গেছে। ’
এ বিষয়ে শেওড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের পর মানুষের উপর অর্থনৈতিক চাপ একটু বেশি থাকে। তাই এখন মাছ-মাংস সেভাবে কেনা হয় না। আর দামও তো বাড়ছে হু হু করে। তাছাড়া বাজারে মাছও তেমন একটা দেখি না। যা আছে মান ভালো না।
মিরপুর-১০ এলাকায় বাজার করতে আসা রিনা আক্তার বলেন, মাছের দাম বৃদ্ধির পেছনে সুপার শপগুলো অনেকটা দায়ী। বাজারে যে দাম থাকে তার থেকে ওদের সবসময় সর্বনিম্ন ৫ টাকা বেশি থাকে। ওদের খবর পেয়ে বাজারের মাছ বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দেয়। এ কারণে এক এক জায়গায় এক এক রকম দাম দেখি। বিশেষ করে সুপার শপের পাশে বাজার যে কয়টা জায়গায় আছে যেমন-কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর-২ নম্বরের বাজারগুলোতে মাছ ছাড়াও অন্য জিনিসের দাম অনেক বাড়তি থাকে। এ বিষয়গুলো মনিটরিং-এ রাখা উচিৎ।
বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১৮
এমএএম/আরআর