এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।
তিনি বলেন, দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এবং খুলনা বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট সেখ মো. আব্দুল বাকী।
স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু ছাইদ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পাইকগাছা বিএফআরআই-এর উপ-পরিচালক মিসেস নিলুফার বেগম, মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ শিকদার এবং চিংড়ি চাষী মো. আব্দুল গফুর খান।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাছ চাষে অবদানের জন্য ছয়জন সফল মৎস্য চাষী এবং মৎস্য পণ্য রফতানিকারক ও গুণগতমানের জন্য পাঁচটি সফল প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলায় বিজয়ীদের মধ্যে ও স্টল প্রতিনিধিদের মধ্যেও পুরস্কার বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, এবছর মাছ চাষে সফল মৎস্যচাষীরা হলেন-বটিয়াঘাটার মো. খাইরুল ইসলাম, রূপসার গাউছুল হক লস্কর, ফুলতলার মো. আশরাফ সরদার, দিঘলিয়ার মো. উজ্জ্বল গাজী, ডুমুরিয়ার সুজিত মণ্ডল ও দাকোপের মো. জাহিদুর রহমান।
মৎস্য পণ্য রফতানিকারক ও গুণগতমানের জন্য সফল প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জয় ফিড মিলস লিমিটেড, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড, রূপসা; ফ্রেস ফুডস লিমিটেড, রূপসা; সউদার্ন ফুডস লিমিটেড, রূপসা এবং এটলাস সী ফুডস লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এমআরএম/আরআর