এবার খামারির উন্নত জাতের গরুর চেয়ে দেশি জাতের গরুর কদরই বেশি বলে জানা যায় হাটসূত্রে।
হাট পরিচালনাকারীরা জানান, ভারতীয় গরুর প্রভাব না থাকায় হাটগুলো দেশের অভ্যন্তরীণ পশুর দখলেই রয়েছে।
এদিকে ক্রেতাদের দাবি, হাটগুলোতে গরুর আমদানি বাড়লেও কমেনি দর। আর তারমধ্যে দেশি প্রজাতির গরুর দাম অনেকটাই বেশি।
আবার হাট ছাড়াও দেশি প্রজাতির গরু গ্রামের গৃহস্থের বাড়ি থেকেও সরাসরি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। এক্ষেত্রে ক্রেতারা ভালোমানের পশুর জন্য গ্রামীণ পথঘাটও চষে বেড়াচ্ছেন।
মামুনুর রশিদ নামে একজন ক্রেতা জানান, বাজেট অনুযায়ী যে চিন্তা-ভাবনা থেকে পশু কিনতে এসেছেন, তা দিয়ে আশানুরূপ পাচ্ছেন না। হয় বাজেট বাড়াতে হবে, নয়তো পশুর আকার ছোট হয়ে যাবে। কৃত্রিমভাবে মোটাতাজাকরণ ছাড়া সুস্থ গরুই কিনতে চাচ্ছি। আবার ৭ ভাগে কোরবানির কারণে পশুটা একটু বড় হওয়াও প্রয়োজন।
আনছার উদ্দিন নামে অপর ক্রেতা জানান, তিমিরকাঠীতে এক চাষির বাড়িতে পালিত একটি দেশি জাতের গরু কিনে রেখেছেন। যা কোরবানির আগের দিন বাড়িতে নিয়ে আসবেন। হাটে এসেছেন প্রতিবেশীর সঙ্গে তাদের গরু দেখতে। তবে মনে হচ্ছে গ্রামের বাড়ি থেকে কেনা গরুর থেকে হাটের গরুর দাম অনেকটাই বেশি। তবে হাটে ভালো গরু রয়েছে।
গরু ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের হাওলাদার বলেন, কিছু হাটে গৃহস্থের গরু-ছাগলগুলো উঠেছে, আবার কিছু হাটে খামারির গরু। তবে ঝালকাঠির সব হাটেই গরুর আমদানি বেশ ভালো। ভারতের গরু না আসায় এখন দেশি গরুর চাহিদও যেমন বেশি, তেমন পালনকারীরা দামও ভালো পাচ্ছেন।
সাইফুল ইসলাম নামের অপর ব্যবসায়ী বলেন, গতবছরের থেকে গরুর দাম কিছুটা বেশি। পশুর খাবারের দাম বাড়ায় গরুর দামও বেড়েছে। পাইকারদেরও বেশি দামে গরু কিনতে হয়েছে। তাছাড়া যোগাযোগসহ সব খাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় পশুর দামও বেড়ে যাচ্ছে, তবে তা নিয়ন্ত্রণের বাইর নয়।
রাজাপুরের বাগড়ি হাটের ইজারাদার মো. ইলিয়াস সিকদার জানান, কোরবানির হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। বেচা-বিক্রিও মোটামুটি হচ্ছে। কোরবানি আসতে দিন যত কমবে বেচাকেনা তত বেশি হবে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলার ৪টি উপজেলায় বাণিজ্যিক ও পারিবারিকভাবে ৪ হাজার ৫শ ৮৯টি গরুকে উন্নত মানের খাবার দিয়ে প্রাকৃতিক খাদ্যোপাদানে মোটাতাজা করছে। জেলায় মোট কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৬ হাজার ৮৪৭টির।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৮
এমএস/এএ