হাটের প্রবেশপথে বিশাল আচ্ছাদনের নিচে রাখা হয়েছে বড় গরু। উৎসুক মানুষের ভিড় সেখানেও।
বিশালদেহী সুদর্শন গরু ‘কালা মানিকের’ও ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না ব্যাপারী। গত বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়ার হালশা গ্রাম থেকে গরুটি এসেছে। কালা মানিকের দাম হাঁকা হচ্ছে ২০ লাখ। প্রথমদিকে দুই-একজন ক্রেতা ১১ লাখ টাকা দাম দিতে চাইলেও এখন আর দাম উঠছে না কালা মানিকের।
ব্যাপারী দুলাল বলেন, বড় গরু কেউ লিচ্চে নাকো। প্রথম ১১ লাখ দাম বলেছে এখন কেউ দামই বলে না। হাটে আইসে দেখি আমার কালা মানিক বেদামি।
গাবতলী হাট ঘুরে দেখা গেছে, বড় গরুর ডেরাগুলো বিশালাদেহী গরুতে পরিপূর্ণ রয়ে গেছে। এতে করে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বড় গরুর ব্যাপারীদের কপালে।
বগুড়ার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম একটি বিশালদেহী গরু হাটে তুলেছেন। আনুমানিক ১৮ মণ মাংস হবে গরুটির। শফিকুল আশা করেছিলেন অন্তত ৬ লাখ টাকা দাম হবে তার গরুর। এখন অবধি দাম উঠেছে মাত্র দুই লাখ টাকা।
নাটোরের গুরুদাশপুরের আরেক ব্যাপারী দুটি বড় গরু হাটে তুলেছেন। কিন্তু ক্রেতারা তার আকাঙ্ক্ষিত দামের ধারেকাছেও ভিড়ছেন না। গাড়ি ভাড়া, হাট খরচা ও খাওয়া দিয়ে পাঁচদিনে ৩০ হাজার টাকা খরচ করেছেন ওই ব্যাপারী।
মানিকগঞ্জের মজিবুর ব্যাপারী হাটে মোট চারটি গরু তুলেছেন। এর মধ্যে দুটি ছোট ও দুটি বড়। ছোট দুটি গরু লাভে বিক্রি করেছেন। কিন্তু বড় গরুর দাম হাঁকেননি কেউই।
মজিবুর বলেন, আমি দুইটা বড় গরুর দাম কইছি ১২ লাখ। কিন্তু এখনও কেউ এক টাকা দাম কয়নি। ভাগ্যে কী আছে আল্লাহ জানে!
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৮
এমআইএস/এমজেএফ