আগামী বোর্ডসভায় তার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ।
বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ বলেন, তার (আউয়াল খান) পদত্যাগপত্র উপস্থাপিত হবে আগামী বোর্ডসভায়।
আলাউদ্দিন এ মজিদ বলেন, নিয়ম হলো, কোনো এমডি পদত্যাগ করতে চাইলে তিন মাস আগে ব্যাংকের বোর্ডকে জানাতে হবে। তিনি সেটিই করেছেন। এখন বোর্ড এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। বোর্ড চাইলে তিনি আরও তিন মাস চাকরি করতে পারবেন। বোর্ড না চাইলে তিনি যেকোনো দিন চলে যাবেন। এক্ষেত্রে সরকারের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারও আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ বছরে বেসিক ব্যাংকের লোকসান হয়েছে ২ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, ব্যাংকটির ৬৮টি শাখার মধ্যে লোকসান গুনছে ২১টিই।
জানা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর আমলের চার বছরে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়। বর্তমানে ব্যাংকটির ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশই খেলাপি ঋণ যা ৮ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, আউয়াল খান এর আগে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর কৃষি ব্যাংকের এমডি পদে যোগ দেন। পরে চলতি বছরের আগস্টে অবসরজনিত ছুটিতে যান। তিনি রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকেরও এমডি ছিলেন। এর আগে তিনি ডিএমডি হিসেবে অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৮
এনএইচটি