বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নগর ভবনে সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি এ বাজেট ঘোষণা করেন।
ঘোষিত বাজেটে জলাবদ্ধতা ও সড়ক সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শেখ মো. গাউসুল আযমের সভাপতিত্বে বর্তমান পরিষদের পাঁচ বছরের সর্বশেষ বাজেট ঘোষণা করলেন মেয়র মনি।
২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট ছিলো ৪৪০ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। পরে তা সংশোধিত আকারে দাঁড়ায় ২৬৯ কোটি ৯১ কোটি ৯৪ হাজার টাকায়। বাস্তবায়ন হয়েছে শতকরা ৬১ দশমিক ২৩ ভাগ।
ঘোষিত বাজেটের আয়ের খাত: বাজেটের রাজস্ব তহবিল থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এরমধ্যে প্রারম্ভিক স্থিতি ৪৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা এবং রাজস্ব খাত থেকে মোট আয় ধরা হয়েছে ১৩৪ কোটি ২২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। বাকি ৪৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকার মধ্যে উন্নয়ন তহবিলের সরকারি অনুদান (দ্বিতীয় অংশ) থেকে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ কোটি ৩১ লাখ টাকা এবং বিশেষ প্রকল্প (তৃতীয় অংশ) অনুদান প্রাপ্তি খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
ব্যয়ের খাতে রাজস্ব তহবিল থেকে সংস্থাপন ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এরমধ্যে সংস্থাপন ব্যয় ১০৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ অর্থাৎ নগরের বিভিন্ন রাস্তা, ড্রেন ও অবকাঠামোগত সুবিধাধীন উন্নয়ন ব্যয় ৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, মূলধন হিসাব ৩০ লাখ টাকা এবং সমাপনী স্থিতি ২ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
এছাড়া সরকারি অনুদান (দ্বিতীয় অংশ) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) সরকারি অনুদান ৪৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বিশেষ থোক ২৫ কোটি ও জাতীয় এডিপিভুক্ত/প্রস্তাবিত প্রকল্পে সরকারি অনুদান ২০০ কোটি টাকা। বিশেষ প্রকল্প ন্যাশনাল আরবান প্রোপার্টি রিডাকশন প্রোগাম, বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড প্রকল্প, নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প পার্ট-২, নিরাপদ পথ খাবার, আরবান পাবলিক অ্যান্ড এনভারমেন্টাল হেলথ সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, সিটি ওয়ার্ড ইনক্লুসিভ স্যানিটেশন এনগেজমেন্ট ইন খুলনা, আরবান ম্যানেজমেন্ট অব ইন্টারনাল মাইগ্রেশন ডিউ টু ক্লাইমেন্ট চেঞ্জ ইন খুলনা সিটি করপোরেশন, রিজিওনাল ইনক্লুসিভ আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প, সোলার স্ট্রিট লাইট প্রকল্প ও খালিশপুর কলেজিয়েট স্কুল নির্মাণ, এনগেজিং মাল্টি সেক্টরাল পাটনার্স ফর ক্রিয়েটিং অপরচুনিটিজ ইমপ্রভিং ওয়েলবিয়িং অ্যান্ড রিলিজিং রাইটস অব দি আরবান পুত্তর প্রজেক্ট ও লোকাল গভর্নেন্স ফর চিলড্রেন প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮৩ কোটি টাকা। তবে এবার জলাবদ্ধতা নিরসন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে ৮৪৩ কোটি এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত সড়ক মেরামত ও উন্নয়নে ৬০৮ কোটি টাকার দু’টি প্রকল্পের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। যা সবুজ পাতায় থাকবে। অনুমোদন পেলে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসি নির্বাচনে বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মহানগর সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক মেয়র নির্বাচিত হন। ২৫ সেপ্টেম্বর নবনির্বাচিত মেয়র খালেকের দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮
এমআরএম/আরবি/