সভায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাজার সুবিধা সম্প্রসারণ এবং পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দেশে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোরও অনুরোধ জানিয়েছে।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও বাংলাদেশে পণ্য ও সেবা বিক্রির বাধা দূর করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতরে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী এ সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু। এছাড়া বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মুহম্মদ হাবিবুর রহমান খান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. মুনীর চৌধুরী, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সচিব মইনুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রকাশ দেওয়ানসহ মোট ১২ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ মার্ক লিন্সকট। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের দফতরের উপ-সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ জেবা রেয়াজুদ্দিন, ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক/অর্থনৈতিক কাউন্সিলর বিল মোলারসহ মোট ২০ জন প্রতিনিধি এ সভায় অংশ নেন।
সভায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সংক্রান্ত বিষয়াদি প্রধান্য পায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ সভায় বাণিজ্য সহযোগিতাকরণ চুক্তি টিএফএ বাস্তবায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রবেশাধিকার সম্প্রসারিত করার বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়। এক্ষেত্রে ডব্লিউটিও’র বালি মিনিস্টিরিয়ালের সিদ্ধান্তের আলোকে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বৃদ্ধিরও অনুরোধ জানানো হয়।
নার্স, মিডওয়াইফসহ অন্যান্য সেবাখাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ঢোকা সহজিকরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের বিষয়ে তথ্যাদি তুলে ধরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া বাংলাদেশি পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা, টেকনোলজি ট্রান্সফার, বাণিজ্য বিষয়ক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ডিজিটাল ইকোনমি ও উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে টেকসই গ্রাজুয়েশনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চাওয়া হয়।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি বৃদ্ধি- বিশেষ করে তুলা ও ওষুধ রফতানি, মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ, সরকারী ক্রয় পদ্ধতি ও লেবার ইস্যু বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের খসড়া ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় নোটিফিকেশনের জন্য বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়।
২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর ২০১৪ সালের ২৬ এপ্রিল টিকফা কাউন্সিলের প্রথম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এর দ্বিতীয় সভা এবং ২০১৭ সালের ১৭ মে ঢাকায় তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৮
এজেড/আরবি/