সরকার ঘোষিত এ মজুরি গার্মেন্টস শ্রমিক সংগঠনগুলো প্রত্যাখান করলেও খুশি এ সেক্টরের সাধারণ শ্রমিকরা।
তবে শ্রমিকদের শঙ্কা বর্ধিত মজুরি কার্যকর নিয়ে।
ওই কারখানায় এক বছর ধরে কর্মরত আছেন বগুড়া জেলার হাবিব। স্ত্রী নিয়ে থাকেন ভাড়া থাকেন কমলাপুর এলাকায়। বর্তমানে তার মূল বেতন ছয় হাজার ৮শ টাকা। ওভারটাইম কাজ করলে মাসে আসে ১২০০ হাজার টাকা। মাস শেষে তার কোনো টাকা সঞ্চয় থাকে না।
গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি বাড়ার বিষয়ে কিছু জানেন কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে হাবিব বলেন, এক বছর ধরেই শুনছি বেতন বাড়বে, এখনও কোনো খবর নাই। বর্তমানে যে টাকা পাই তা দিয়ে সংসার চলে কোনো মতে, সঞ্চয় হয় না। মজুরি বাড়ছে এতে খুশি, তবে কবে থেকে এ টাকা পাব তা বলতে পারছি না।
আলামিন ফিনিশিং ও লোডারে কর্মরত আছেন ৯ মাস ধরে। মাস শেষে তার বেতন আসে আট হাজার টাকা। মেসে থাকা-খাওয়া বাদে তার হাতে জমা থাকে দুই হাজার টাকা। আলামিন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক আগেই আমাদের বেতন বাড়ানো দরকার ছিল। বেতন বাড়ায় খুব ভালো লাগছে। তবে বেসিক বেতন বেশি বাড়লে ভালো হতো। বেসিকের সঙ্গে ওভারটাইম জড়িত।
গার্মেন্টস শ্রমিক নেতারা সরকার ঘোষিত মজুরি প্রত্যাখান করেছেন এর সঙ্গে আপনি একমত কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেতারা অনেক কিছুই বলেন। আমাদের বেতন বাড়া দরকার ছিল, তাই বেড়েছে। এতে আমরা খুশি, তবে এটা দ্রুত কার্যকর হওয়া দরকার। ওভারটাইম দিয়ে এখন আরও কিছুটা সঞ্চয় হবে?
এদিকে সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখান করেছেন শ্রমিক নেতারা।
শ্রমিক নেতাদের দাবি, বর্তমানে ভোগ্য পণ্যসহ সবকিছুর দাম বেড়েছে, তাহলে শ্রমিকের মজুরি কেনো বাড়বে না?
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফেডারেশন সভাপতি মোশরেফা মিশু বাংলানিউজকে বলেন, সরকার ঘোষিত আট হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি আমরা প্রত্যাখান করছি। আমাদের আন্দোলন চলবে যতক্ষণ পর্যন্ত ১৬ হাজার টাকা নিম্নতম মজুরি ঘোষণা না করা হবে। সরকার ঘোষিত এ মজুরি শ্রমিক অন্তোষ বাড়িয়ে দেবে।
সংযুক্ত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বজলার রহমান বলেন, ঘোষিত মজুরি পুনঃমূল্যায়ন করে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষণা করা হোক। এ মজুরি নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮
ইএআর/এএটি