মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল লা ভিঞ্চিতে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই বিমা চালু হলো। পাঠাও যৌথভাবে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে গ্রুপ বিমা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে পাঠাওয়ের সিইও হুসেইন এম ইলিয়াস, ডটলাইনের সিইও হাসান মেহেদী, পাঠাওয়ের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কিশোর হাশমী এবং প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের পক্ষ থেকে এম জাহাঙ্গীর আলমসহ তিন কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহারকারী ও চালকদের জন্য বিমা সুবিধা চালু করেছে পাঠাও। চালক ও যাত্রীদের নিরাপদে রাখতে এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
এতে বলা হয়, চালক ও যাত্রীরা কেবল রাইড শেয়ারিংয়ে কল দেওয়া থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত সময়ে দুর্ঘটনায় মারা গেলে, আহত হয়ে সম্পূর্ণরূপে অক্ষম হয়ে পড়লে, দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এবং প্রকৃতিগতভাবে মৃত্যু হলে চালক ও যাত্রীরা এই ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আসবেন।
দুর্ঘটনায় চালক ও যাত্রীর মধ্যে যে কেউ মারা গেলে তার ক্ষতিপূরণ ১ লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি দুর্ঘটনায় চালক ও যাত্রীর যে কেউ অচল অর্থাৎ, প্যারালাইজড হয়ে পড়লে তার নমিনিকে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে অর্থাৎ, কিছুদিন চিকিৎসাধীন থাকলে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। দুর্ঘটনায় তার চেয়ে কম ক্ষতি হলে তাদের সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
তবে মৃত্যু বিমার দাবি হলে দুর্ঘটনার ১ মাস, হাসপাতালে ভর্তি হলে ১৫ দিন এবং নরমাল দুর্ঘটনার জন্য ৭ দিনের মধ্যে পাঠাওয়ের কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর সব কিছু ঠিক থাকলে তিন-চার দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এমএফআই/এএ