মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে এপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়।
এর আগে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য খালাসে বাংলাদেশি সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে গত শনিবার ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা ধর্মঘট ডেকে বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়।
এদিকে চারদিন বন্ধ থাকার পর বাণিজ্য শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দর এলাকায় বেড়েছে যানজট। এতে আমদানি পণ্যের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। অনেকটা ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীরা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, টানা ধর্মঘটে ৪ দিনে এ বন্দরে ব্যবসায়ীরা প্রায় ৫ কোটি টাকা লোকসানের শিকার হয়েছেন। আর সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা।
বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা(ইনেসপেক্টর) অলি উল্লাহ সন্ধ্যায় বাংলানিউজকে জানান, আমদানি পণ্য নিয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে। রফতানি কার্যক্রমও শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সেখানকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন। আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান বেনাপোল বন্দরে এসে দুই দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিমাংসা করবেন। এ ধরনের আলোচনায় ভারতীয় ব্যবসায়ীরা ধর্মঘট তুলে নেওয়ায় বাণিজ্য সচল হয়েছে। দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য সংশিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
এজেডএইচ/এসএইচ