ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিত্যপণ্যের বাজার আবারো চড়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৮
নিত্যপণ্যের বাজার আবারো চড়া মাছ ও সবজি বাজার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাজারে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম কমছে না মোটেও। সপ্তাহের ব্যবধানে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। অন্যদিকে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে মাছ, মুরগি, ডিম ও চাল। তবে দাম কমেছে গরুর মাংস ও শাকের।

শুক্রবার (০৫ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ, শান্তিনগর ও সেগুন বাগিচা বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।

এসব বাজারে প্রতিকেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর ছড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা, সিম ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, লাউ প্রতিপিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা, জালি কুমড়া প্রতিপিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি প্রতিপিস ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

তবে এসব বাজারে শাকের দাম কিছুটা কমেছে। কলমি শাক প্রতিআটি ৫ থেকে ৭ টাকা, লাল শাক ৭ থেকে ১০ টাকা, লাউ শাক ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে পর্যাপ্ত সবজি থাকলেও বাড়তি দাম কেন এ বিষয়ে কারওয়ান বাজারের খুচরা সবজি বিক্রেতা আলী হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কাঁচামালের বাজার বোঝা যাবে না। বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) দাম কম ছিলো আজ তুলনামূলক কম মাল বাজারে এসেছে, তাই দাম একটু বেশি।

তবে তার কথার সঙ্গে একমত নন ক্রেতা হাফিজুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে এখন সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। কিন্তু দাম কমছে না। সব বিক্রেতাই একই দাম চাচ্ছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে, তাদের সিন্ডিকেটেই দাম বাড়ছে। এতে যতো সমস্যা তৈরি হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের।

মাছ, মুরগি ও ডিমের দামও বেশ চড়া। এসব বাজারে ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের প্রতিজোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা,  রুই মাছ প্রতিকেজি ২২০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিংড়ি হরিনা ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, গলদা ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা হচ্ছে।

বাড়তি রয়েছে সব ধরনের ডিম ও মাংসের দাম। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে, ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৮০ টাকা, ব্রয়লার ১০৫ টাকা।

প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা গেছে, ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, লেয়ার ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতিহালি (৩০০ গ্রাম ওজন) ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা। তবে কমেছে গরু ও মহিষের মাংসের দাম। প্রতিকেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে ৪৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে চালের দামও কিছুটা বাড়তি। মিনিকেট সিরাজ চাল প্রতিকেজি ৬৫ টাকা, মিনিকেট ৬২ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম।

প্রতিকেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মোটা ৭০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতিলিটার খোলা ৯০ টাকা, বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান ৮০ টাকা, দেশি ৭০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৮
ইএআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।