ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পরিবহন ধর্মঘটেও নিত্যপণ্যের সঙ্কট নেই 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮
পরিবহন ধর্মঘটেও নিত্যপণ্যের সঙ্কট নেই  রাজধানীর সবজির বাজার (ফাইল ছবি)

ঢাকা: সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ রোববার (৭ অক্টোবর) থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। তবে ধর্মঘট চললেও এর প্রভাব পড়েনি রাজধানীর নিত্যপণ্যে। বাজারে পর্যাপ্ত রয়েছে নিত্যপণ্য। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি, মুরগি, ডাল, মসলাসহ অন্য পণ্য। কিছুটা নিম্নমুখী চালের বাজার।

মঙ্গলবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ তথ্য মিলেছে।  

কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব পণ্যই আগের বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

 

পণ্য পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, এখন বাজারে পর্যাপ্ত মালের উপস্থিতি আছে। তাই ধর্মঘটের প্রভাব বাজারে পড়েনি।

এ বাজারে চালের দাম কিছুটা নিম্নমুখী। মিনিকেট চাল প্রতি বস্তা ২৫০০ টাকা, মিনিকেট সিরাজ ২৫৫০ টাকা, নাজির ইন্ডিয়ান ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা, দেশি নাজির ২৯০০ টাকা, নাজির (নাহিদ) ৪০০০ টাকা, আটাশ ২০০০ টাকা থেকে ২১০০ টাকা ও  মোটা চাল ১৭০০ টাকা বস্তা প্রতি বিক্রি হচ্ছে।

এ বাজারে প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ টাকা, গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৭০ থেকে ৮০ টাকা, সিম ১০০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাকরোল ৩০ থেকে ৪৫ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়ার জালি প্রতি পিস ২০ থেকে ৩০ টাকা, বাঁধা কপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

তবে বাজারে ইলিশ মাছ না থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব মাছ। রুই মাছ ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৩০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, শিং ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চিংড়ি হরিনা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, গলদা ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  

মুরগির দাম কম হলেও ডিমের দাম বেশ চড়া। প্রতি ডজন হাঁসের ডিম বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, দেশি মুরগির ডিম ১৫০ টাকা ও ব্রয়লার ১০৫ টাকায়। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করতে দেখা গেছে ১৩০ টাকা, লেয়ার ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা, পাকিস্তানি কক প্রতি হালি (৩০০ গ্রাম ওজন) ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা। গরু ও মহিষের মাংস ৪৮০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। খাসির মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।  

অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে ডাল, তেল ও মসলার দাম। প্রতি কেজি মসুর ডাল (দেশি) ১০০ টাকা, মুগ ডাল ১২০ টাকা, ভোজ্যতেল প্রতি লিটার খোলা ৯০ টাকা ও বোতল ১০৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, রসুন ইন্ডিয়ান ৭০ টাকা, দেশি ৫০ টাকা, পেঁয়াজ (দেশি) ৪০ থেকে ৪৬ টাকা ও পেঁয়াজ (ইন্ডিয়ান) ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৮ 
ইএআর/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।