ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২১ সালের মধ্যে তরল দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ

শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
২০২১ সালের মধ্যে তরল দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে দেশ এএসভিএম অনুষদের তৃতীয় ব্যাচের ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশে তরল দুধের উৎপাদন বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশ তরল দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে বলে জানিয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। সরকারের বাস্তবমুখী কার্যক্রমের ফলে দেশ আজ মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

পাশাপাশি ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের দ্বারপ্রান্তে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) অ্যানিম্যাল সায়েন্স ও ভেটেরিনারি মেডিসিন (এএসভিএম) অনুষদের তৃতীয় ব্যাচের ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কথা জানান। এএসভিএম অনুষদের সেমিনার কক্ষে এ ইন্টার্নশিপ ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এএসভিএম অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সেকেন্দার আলী ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ।
 
বিষেশ অতিথির বক্তব্যে ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, দেশে দুধের উৎপাদন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশ তরল দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করবে।

এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। আমরা সঠিক পথে রয়েছি। এজন্য কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রমকে বেগবান করা হচ্ছে। পাশাপাশি খামারিদের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তি ও সঠিক ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণের মাধ্যমে বাছুরের মৃত্যুহার কমিয়ে আনা, বংশগতি ধারার মান উন্নয়ন ও উৎপাদিত দুধের বাজার সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। কৃষককে উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আমরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারবো।

উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন বলেন, পোলট্রি শিল্প দেশের আমিষ চাহিদা পূরণে পাশাপাশি যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বড় ভূমিকা রাখছে। গ্রামে গেলে দেখা যায়, একজন কৃষক তার ছোট্ট বাড়িতে একসঙ্গে হাঁস-মুরগি ও গরু-ছাগল পালন করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করছেন। এগুলো আমাদের প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে।

ডা. উদয় কুমার মহন্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ইন্টার্নশিপ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামে ৪৭জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। আগামী ৬ মাস দেশে বিভিন্ন জায়গায় ও ভারতে ৬ মাস ইন্টার্নি করবেন শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে লগ বুক বিতরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৮
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।