দাম কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, ভারতীয় চাল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়া, মজুদদারির বিরুদ্ধে অভিযান, ওএমএসের চাল বিক্রি ও বাজার সিন্ডিকেটের উপর বিশেষ নজরদারিতে থাকায় চালের দাম অব্যাহতভাবে কমছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় চালের দাম কম হওয়ায় খুলনার বাজারে ভারতীয় চালের আমদানি বহুগুণে বেড়ে গেছে।
তবে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, নজরদারিতে টান পড়লে আবারও অস্থির হতে পারে চালের বাজার। সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে আবারও সুযোগ নেবে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
সোমবার (১৫ অক্টোবর) সকালে মহানগরীর বড় বাজারের মেসার্স মুরাদ ট্রেডিং-এর পাইকারি বিক্রেতা জিয়াউল হক মিলন বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর এই সময় চালের বাজার অস্থিতিশীল ছিল। সারাবছর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে চালের দাম এখন অনেকটাই নাগালের মধ্যে। কয়েকদিনে চালের দাম কমেছে কেজিতে ৫-১০ টাকা পর্যন্ত।
তিনি জানান, কার্ডের বিনিময়ে সরকারের ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রি ও ভারতীয় চাল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে চালের দাম কমছে।
ময়লাপোতা সন্ধ্যা বাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. শিমুল বাংলানিউজকে বলেন, ১৫ দিনের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম ৬০ থেকে কমে ৫৬ টাকা হয়েছে। বালাম ৫২ থেকে ৪৬ টাকায়, নাজিরশাইল ৭২ থেকে ৬৫ টাকায়, রানী ভাইটেল ৭০ থেকে ৬০ টাকায়, আতপ বালাম ৪৮ থেকে ৩৮ টাকায়, বাশমতি ৭৫ থেকে ৬৮ টাকায় ও পোলাও ১০৫ থেকে কমে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে চালের দাম বাড়ার শঙ্কা নেই বলে মনে করেন তিনি।
আব্দুল্লাহ নামের এক ক্রেতা বলেন, চালের দাম অনেক কমেছে। এটা খুশির খবর। তবে আরও একটু কমলে নিম্ন আয়ের মানুষের ভালো হয়।
খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, সরকারিভাবে খোলা বাজারে চাল বিক্রি (ওএমএস) চালু হওয়ায় ও সরকারের চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাজারে সব ধরনের চালের দাম কমেছে। দাম কমায় ভোক্তাদের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৮
এমআরএম/আরআর