রোববার (০৪ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় বেনাপোল স্থলবন্দর অডিটোরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) প্রদোষ কান্তি দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সহ-সভাপতি কামাল উদ্দীন শিমুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহাসিন মিলন, আমদানি রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক প্রমুখ।
দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বৈঠকে কিভাবে বন্দরের জটিলতা কাটিয়ে সুষ্ঠভাবে বাণিজ্য পরিচালনা করা যায় তা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বক্তব্যে বন্দর পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাস বলেন, আমি কথায় না কাজে বিশ্বাসী। বন্দরে চলমান সংকট কাটিয়ে কিভাবে বাণিজ্যে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হয় সে বিষয়গুলো তিনি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। এক্ষেত্রে তিনি ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
গত বছরের ০২ আগস্ট থেকে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সপ্তাহে সাত দিনে ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য শুরু হয়। কিন্তু বন্দরের জনবল সংকট ও অবকাঠামোগত সমস্যায় এক মাসের মাথায় সপ্তাহে সাতদিন বাণিজ্য সেবা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সপ্তাহে ছয়দিন বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। বন্দরে জাইগা সংকটে খালাসের অপেক্ষায় দিনের পর দিন ভারতীয় ট্রাক আমদানি পণ্য নিয়ে বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকায় মারাত্মকভাবে লোকশানের কবলে পড়ছে ব্যবসায়ীরা। বন্দরে পণ্য উঠা নামানোর কাজে যথেষ্ট পরিমাণে ক্রেন ও ফরক্লিপ না থাকায় খালাসের সময় ভোগান্তি পোহাতে হয়। পণ্যগার এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশের উপর বিধি নিষেধ না থাকায় অগ্নিকাণ্ড ও আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা সংঙ্কায় ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। এসব সমস্যা নিরসণ করে কিভাবে দ্রুত বাণিজ্য সম্প্রসারণ হয় তা নিয়ে বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৮
এজেডএইচ/এনটি