বৃহস্পতিবার (০৮ নভেম্বর) রাজধানী গুলশানের খাজানা গার্ডেনিয়া গ্রান্ড হলে ‘ব্যক্তি খাতের আয়কর আহরণে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদেনটি প্রকাশ করেন সিপিডির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়,২০১৮ সালে জরিপে বিগত বছরগুলোতে কেবল ৩২ শতাংশ মানুষ আয়কর দিয়েছেন। এর মধ্য উচ্চ আয়ের ২৫ শতাংশ মানুষের এক তৃতীয়াংশ গত বছর আয়কর দেননি। যারা করেছেন তাদের মধ্যে অনেকে কর ফাঁকি দিয়েছেন। জরিপের ৭৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন কর ব্যবস্থায় ধনী-গরিবের মধ্যে পক্ষপাতদুষ্ট। ৫০ শতাংশ মানুষকে মনে করেন এখনকার কর ব্যবস্থা অত্যন্ত জটিল। ৮৫ শতাংশ মানুষ মনে করেন এনবিআরের সেবা ও তার গুণগত মান বৃদ্ধির করলে জনগণ কর দিতে উৎসাহিত হবে।
সিপিডির সুপারিশে বলা হয়, কর অফিসকে একটি দুর্নীতিমুক্ত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করে মানুষের মধ্যে আস্থা বৃদ্ধি করা, ধনী অথচ কর ফাঁকি দেন এমন ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা, সমতাভিত্তিক কর ব্যবস্থা বিকশিত করা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অধিকতর ন্যায্য এবং আধুনিক সম্পত্তি ও সম্পদ কর চালু করা। কর নীতি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের সময় অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা। একই সঙ্গে যে কোনো নীতি প্রণয়নের আগেই যথাযথভাবে এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা এবং অধিকতর শিক্ষিত ও আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মরতদের কর দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি বিধায় আনুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করাসহ ১০ দফা সুপারিশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০১৮
এমএফআই/এসএইচ