ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
‘বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন’

ঢাকা: আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে প্রত্যাশা করা হচ্ছে, তা বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে পূরণ অসম্ভব বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেজন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বিদায়ী শুভেচ্ছা ও নতুন অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামালকে শুভেচ্ছা ও স্বাগত জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার পরির্বতন করতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যে প্রত্যাশা করি বিদ্যমান শিক্ষা কাঠামো দিয়ে তা সম্ভব নয়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা টেকনোলজি-বেইজডও নয়। এই শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে, বর্তমান ও আগামীর চাহিদা পূরণ অসম্ভব। এ জন্য শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।

এনবিআর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, মুহিত ভাই এনবিআরকে নিয়ে সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে গত ১০ বছরের ৫৪ হাজার কোটি টাকা থেকে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ কোটি টাকায় উন্নীত করেছেন। আমাদের স্বপ্ন এখন ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গত ১০ বছরের দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৫৪৩ ডলার থেকে ১৭০০ ডলারে উন্নীত হয়েছে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। এসব কারণে গত ১০ বছরে ১৭টি দেশকে পেছনে ফেলে ৫৮তম থেকে ৪১তম দেশের উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

মুস্তফা কামাল বলেন, এ মুহূর্তে জি-২০ সামিট চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ সেখানে আমন্ত্রণ পায়নি। তবে ২০৪১ সালের আমরা সেখানে আমন্ত্রণ পাবো। এর জন্য সেই কাজটি করতে হবে। মুহিত ভাই যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, আমরা সেই প্রত্যাশা পূরণ করবো।

আবুল মাল আব্দুল মহিত অত্যন্ত ভালো মানুষ উল্লেখ করে মুস্তফা কামাল বলেন, মুহিত সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষ। আমি তাকে মিস করি। যখননি প্রয়োজন হবে, তার কাছে যাবো। তিনি বিদায় নেওয়ার আগে বলেছিলেন, আগামীতে যে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে আসবে তার জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা রেখে যাবেন। আমি তার কর্মকাণ্ড অনুসরণ করবো। তার রেখে যাওয়া জায়গা থেকেই কাজ শুরু করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএফআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।