ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৯
২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে অতিথিরা

ঢাকা: ২০১৮-১৯ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

এসময় তিনি বলেন, অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের মুদ্রা ও আর্থিকনীতি কার্যক্রমের সামগ্রিক সফলতার প্রেক্ষাপটে মুদ্রানীতি প্রোগ্রামে ২০১৯ অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে বড় কোন পরিবর্তন  আনার  প্রয়োজন  হয়নি।

রেপো (বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো রিজার্ভ ব্যাংক থেকে যে সুদে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেয় তাকে বলে রেপো রেট) ও রিভার্স রেপো (তেমনি ব্যাংকগুলি তাদের উদ্বৃত্ত অর্থ রিজার্ভ ব্যাংকে রেখে যে হারে সুদ পায় তাকে বলে রিভার্স রেপো রেট) সুদ হার ৬.০ এবং ৪.৭৫ শতাংশে অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাপক  মুদ্রা  (গ২)  এবং অভ্যন্তরীণ  ঋণের  প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১২.০ শতাংশ এবং ১৫.৯ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।  

তবে, অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের প্রকৃত গতিধারা বিবেচনায় নিয়ে জুন ২০১৯ শেষে সরকারি ও বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি আগের ৮.৫ ও ১৬.৮ শতাংশ থেকে কিছুটা সংশোধন করে যথাক্রমে ১০.৯ এবং ১৬.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে। এছাড়া অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাশিত জোরালোতর বিনিয়োগ কর্মকাণ্ডের সূত্রে আমদানির সম্ভাব্য বৃদ্ধির কারণে নিট বৈদেশিক সম্পদ (এনএফএ) এর ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি প্রথমার্ধের প্রক্ষেপিত (-) ১.৬ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে (-) ৩.৪ শতাংশে দাঁড়াবে বলে প্রক্ষেপিত হয়েছে, যা বাজার তারল্যের ওপর এবং বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ স্থিতির ওপর বর্ধিত চাপ আনতে পারে।

চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’র সঙ্গে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট হওয়ার সূত্রে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ অন্তঃপ্রবাহ বেশ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই লক্ষ্যে দেশের আর্থিকখাত প্রতিষ্ঠানগুলোর এবং প্রকৃত খাতের  শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেটগুলোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ক্রেডিট রেটিংয়ের ভালো মান অর্জন ও বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ হবে। অচিরেই মধ্যম আয়ের অর্থনীতি পর্যায়ে দেশের কাঙ্ক্ষিত উত্তরণের জন্য প্রয়োজনীয় বর্ধিত বিনিয়োগ বহুলাংশে বৈদেশিক সূত্র থেকে আকর্ষণ করতে হবে।  

গভর্নর বলেন, এই পরিবর্তনশীলতার ব্যত্যয় বাজার ব্যবস্থার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে দেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের দ্বিধাগ্রস্ত করার ঝুঁকি বাড়াবে, দেশের অভীষ্ট দ্রুত উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের স্বার্থেই যা এড়ানো বাঞ্ছনীয়।  

এ সময় ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংকের চেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট উপদেষ্টা আল্লাহ মালিক কাজেমী, বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, ব্যাংকিং রিফর্ম অ্যাডভাইজার এস কে সুর চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) মো. আখতারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের মহাব্যবস্থাপকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।