ঢাকা : ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সোমবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দরপতন অব্যাহত ছিল। গত তিন মাসের মধ্যে আজ ডিএসই-তে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
আজ ডিএসইতে মাত্র ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৬০ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এটি গতকালের চেয়ে ৪৫৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা কম।
লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমায় বাজার মূলধন ও সূচক উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। এদিন ডিএসইর বাজার মূলধন আগের দিনের চেয়ে ৪ হাজার ২০ কোটি টাকা কমে ২ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকায় নেমে আসে। গতকাল রোববার বাজার মূলধন ছিল ২ লাখ ৭১ হাজার ১৭ কোটি টাকা।
আজ ডিএসইতে সব কয়টি সূচকের পতন হয়েছে। সাধারণ মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ১১৬.১৩ পয়েন্ট কমে ৬১০১.১৫ এবং ডিএসআই সূচক ৮৯.৭৪ পয়েন্ট কমে ৫০৬১.৫২ এ নেমে আসে। অন্যদিকে ডিএসই-২০ মূল্যসূচকও ৬৭.৭৬ পয়েন্ট কমে ৩৫৬৯.০৯ হয়।
দিনশেষে লেনদেন হওয়া ২৪৮ টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ৩৮টির, কমেছে ২০২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।
বড় ধরনের দরপতন ঘটলেও বাজার বিশ্লেষক ও ডিএসই‘র পক্ষ থেকে একে বাজারে মূল্য সংশোধন (মার্কেট কারেকশন) বলে অভিহিত করা করা হয়। অন্যদিকে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এর সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছেন, মূল্য সংশোধন নয়, এটা ভয়াবহ দরপতন।
ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল বিজভী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, প্রতিদিনই শেয়ারের দাম বাড়বে না। বাজারের নিয়ম অনুযায়ীই শেয়ারের দাম কমছে। এতে ভয়ের কিছু নেই।
অন্যদিকে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্বকিদ্যালয়ের অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, টানা ঊর্ধগতির পর বাজারে মূল্য সংশোধন হচ্ছে। এটা আরো আগে হলে ভালো হতো।
হালিম ও ফারুক নামের দুইজন বিনিয়োগকারী জানিয়েছেন, বাজারে যা হচ্ছে এটা কোনোভাবেই মূল্য সংশোধন নয়। এটা বিনিয়োগকারীদের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়। গত দুইদিনে অনেক বিনিয়োগকারী তাদের পুঁিজর একটি বড় অংশ খুইয়েছেন।
আজ ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো - এবি ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিঃ, বেক্সিমকো লিঃ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, ওয়ান ব্যাংক, বিএসআরএম, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস।
দর বৃদ্ধিতে আজকের প্রধান ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- সমরিতা হসপিটাল, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স্, আরামিট, পাইওনিয়ার ইন্সুরেন্স্, ২য় আইসিবি, স্কয়ার টেক্সটাইল, কাশেম ড্রাইসেলস্, ইণ্ডাস্ট্রিয়াল প্রমোশন অ্যান্ড ডেভলাপমেন্ট কোং অব বাংলাদেশ লিঃ, ৩য় আইসিবি ও মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্স।
দাম কমার শীর্ষে ছিল রেকিট বেঙ্কিজার, বিডি অটোকারস্, নিলয় সিমেন্ট, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস্, আনলিমা ইয়ার্ন, এইচ আর টেক্সটাইল, দেশ গার্মেন্টস, সাফকো স্পিনিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল ও ইমাম বাটন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ঃ ১৮১৫ ঘন্টা, ২১ জুন ২০১০
জিএস/এএইচএস/জেএম