মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারওয়েজের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।
এসময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) সফিকুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন বড় বড় তৈরি পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় শ্রমিকরা নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। কারখানাগুলো আধুনিক ও নিরাপদ করতে মালিকদের বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে ব্যয় আরো বেড়েছে। কিন্তু তৈরি পোশাকের ক্রেতারা সে অনুপাতে পোশাকের মূল্য বাড়াচ্ছে না। ফলে তৈরি পোশাকের উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিক ইচ্ছা ও তৈরি পোশাক কারখানার মালিকদের সহযোগিতায় শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। শ্রমিকদের বেতন বেড়েছে, কারখানাগুলো নিরাপদ হয়েছে। দেশে একের পর এক গ্রিন ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। এছাড়া কারখানাগুলোকে নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করতে ন্যাশনাল ইনেসিয়েটিভ, অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স দীর্ঘদিন কাজ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে।
নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তৈরি পোশাকের বাজার। গত অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি ছিল ১২শ ৫ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। একই সঙ্গে আমদানি হয়েছে ২৩১ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক প্রতিকূল পরিবেশ অতিক্রম করে বর্তমান অবস্থানে এসেছে। শ্রমিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ আন্তরিক। শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
জিসিজি/এএ