মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজেন্ডার ইগনাটোভের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। এসময় বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) সফিকুল ইসলামসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরেশিয়ার ইকোনোমিক ইউনিয়নের পাঁচটি দেশে প্রায় ১৮ কোটি লোক বসবাস করে। মার্চে তাদের সঙ্গে এমওইউ বা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হলে আমাদের নতুন বাজার সৃষ্টি হবে। আমরা ইতোমধ্যে রাশিয়ায় চা, কাঁচা পাট, চামড়া, ফুটওয়্যার, মটরপাস, তামাক ইত্যাদি পণ্য রফতানি করছি। এসব পণ্য রফতানিতে উচ্চ শুল্ক দিতে হয়। চুক্তি হলে আমরা ইউরেশিয়ার বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবো।
তিনি বলেন, রাশিয়া আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার পর পর তারা আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছে। গত কয়েক বছর আগেও বাংলাদেশ রাশিয়ায় আলু রফতানি করতো। এখন নতুন করে আবার সে দেশে আলু রফতানি করা হবে। তারা এতে রাজি হয়েছে। এজন্য রাশিয়া আলু রফতানির আগে ভালো করে পরীক্ষা করে রফতানির পরামর্শ দিয়েছে।
একইসঙ্গে রাশিয়াকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের ঘোষিত সুবিধা কাজে লাগাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের বিনিয়োগের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করছে। এ লক্ষ্যে মার্চে বাংলাদেশে একটি বৈঠক করে এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে। পাশাপাশি নভেম্বরে রাশিয়ায় দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করে দুই দেশের বিনিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট স্থান খোঁজা হবে। এ সমঝোতা চুক্তি হলে উভয় দেশ লাভবান হবে। দুই দেশই এগিয়ে যাবে। বিনিয়োগের নতুন নতুন খাত তৈরি হবে।
তিনি বলেন, যেকোন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক অনেক গুরুত্ব বহন করে। বাংলাদেশ এ মুহূর্তে যেকোন ধরনের পণ্য রফতানি করতে পারে। এতে আমাদের দরজা খোলা আছে। বর্তমানে ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন রফতানি করে বাংলাদেশ। বাণিজ্য বাড়াতে ব্যাংকিং খাতের গুরুত্ব রয়েছে। এজন্য দুই দেশের জয়েন্ট কমিশন কাজ করছে। তারা সমস্যা খুঁজে বের করে দ্রুত সমাধান করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৯
জিসিজি/আরআর