সকালে আইসিসিবি’তে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মোটর-শো’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবদুল মতলুব আহমাদ, বাংলাদেশ অটো মোবাইল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএএমএ) সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, বাংলাদেশ মোটরসাইকেল অ্যাসেম্বলার্স অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএএমএ) সভাপতি মতিউর রহমান খান, সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটো মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম) এর কো-চেয়ার সুশান্ত নায়েকসহ বাংলাদেশ ও ভারতের অন্যান্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।
এর আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাদের দেশে এখন কিছু ব্র্যান্ডের টু-হুইলার (মোটরবাইক) সংযোজন এবং প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে ফোর-হুইলার (গাড়ি) সংযোজন বা প্রস্তুত করা হচ্ছে না, কারণ এর জন্য আমাদের দেশে এখনও কোনো আইন বা নীতিমালা নেই। তবে আগামী চার থেকে ৬ মাসের মধ্যে আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবো, যার মাধ্যমে আমরা ফোর-হুইলার সংযোজন ও প্রস্তুতকরণের দিকে এগিয়ে যাব। নীতিমালা থেকে পর্যায়ক্রমে আইনও প্রণয়ন করা হবে।
ভারতসহ অন্যান্য দেশকে বাংলাদেশে অটো-মোবাইল খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গাড়ি তৈরি করলে সেই গাড়ি বিদেশেও রফতানি করতে পারবো। বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যচুক্তি রয়েছে, কারও কারও সঙ্গে ‘ডিউটি ফ্রি’ (বিনাশুল্ক) চুক্তিও রয়েছে। তারা সেই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের দেশ থেকে গাড়ি নিতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে মোটর যানবাহনের জন্য টায়ার তৈরিতে বিনিয়োগেও আহ্বান জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম বলেন, তৈরি পোশাক খাতের পণ্য রফতনিতে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন দ্বিতীয়। আমরা সবধরনের ব্যবসায় প্রস্তুতকারক হতে চাই। সেভাবেই নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য প্রাইভেট খাতের জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা রেখেই এসব নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। ভারতসহ অন্য দেশগুলোও এসব নীতিমালার সুবিধা নিয়ে এদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার আদর্শ সোয়াইকা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত দুই বন্ধু প্রতিম দেশ, যাদের মধ্যে ব্যবসায়িক বন্ধুত্বও উল্লেখ করার মতো। গতবার এ মোটর শো থেকে আমরা যে সাড়া পেয়েছি তারই ধারাবাহিকতায় এবারের এ আয়োজন। আর এতো উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ আমাদের দ্বৈত প্রচেষ্টা এবং আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ। এধরনের আয়োজন শুধু বেচাকেনার জন্যই না বরং নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ এবং সম্পর্ক তৈরি ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
গত বছরের ধারাবাহিকতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কোনো ধরনের টিকিট বা প্রবেশমূল্য ছাড়াই মেলা প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে পারবেন দর্শনার্থীরা। বাংলাদেশ ও ভারত ভিত্তিক অটো মোবাইল খাত সংশ্লিষ্ট ৫০টি প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৯
এসএইচএস/এসএইচ