ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিনিশিল্প লাভজনক করতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
চিনিশিল্প লাভজনক করতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণের নির্দেশ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন/ফাইল ছবি

ঢাকা: বেসরকারিখাতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ কর্মসূচি গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এ শিল্প লাভজনক করতে চিনিকলে শুধু চিনি করলেই চলবে না, অন্যান্য খাদ্যপণ্যও উৎপাদন করতে হবে।

এ লক্ষ্যে তিনি কার্যকর প্রকল্প গ্রহণ ও তা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।  

রোববার (২৪ মার্চ) শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।

এ সময় শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।  

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, চিনিকলগুলোতে বিদ্যমান কাঁচামাল ব্যবহার করে খাদ্য উৎপাদনের প্রয়াস জোরদার করতে হবে। তিনি ছোট ও নিন্মমানের প্রকল্প না নিয়ে বড় আকারে কার্যকর প্রকল্প গ্রহণের পরামর্শ দেন। যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে ঘনঘন খুচরা যন্ত্রাংশ বদলানোর প্রয়োজন হবে, সেগুলো পরিহার করে গুণগতমানের প্রকল্প গ্রহণ এবং দক্ষতার সঙ্গে ওইসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।  

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অন্যতম দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে টিম স্পিরিটের সঙ্গে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি আসন্ন ঈদ-উল-আযহার আগেই চামড়া শিল্পনগরীর কাজ সমাপ্ত করার তাগিদ দেন। ঈদের সময় চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ নিয়ে যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়, সেলক্ষ্য এখন থেকেই সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য তিনি চামড়া শিল্পনগরী প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।  

চিনি শিল্পকে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, কৃষিভিত্তিক এ শিল্পকে লাভজনক করতে চিনিকলের উপজাত (বাই-প্রোডাক্ট) ব্যবহার করে নতুন পণ্য উৎপাদনের উদ্যোগ নিতে হবে।  

সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০টি নতুন প্রকল্পসহ মোট ৫২টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৪টি কারিগরি এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ৬৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ৯শ’ ৩৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ৫৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।  

সভায় প্রকল্পগুলোর সর্বশেষ বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। এসময় প্রকল্প সম্পর্কিত সমস্যাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকল্পের বাস্তবায়ন তদারকি এবং অগ্রগতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রচারের তাগিদ দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।