ঢাকা, রবিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যবসার প্রস্তাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন ডলার ব্যবসার প্রস্তাব সেমিনারে আগত অতিথিরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত যৌথ ভাবে ১০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করতে চায়। এজন্য মূল পরিকল্পনা ও প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।

রোববার (২৪ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যবসা ও নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত কনফারেন্স ‘আরব-আমিরাত এবং বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক: বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত রূপরেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থাপন করা প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
 
এতে বলা হয়েছে, দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রধান অংশীদারদের নিয়ে একটি যৌথ বাণিজ্য সংগঠন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বর্তমানে দেশ দু’টির দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য হচ্ছে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের।
 
২০২০ সালে দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য ‘দুবাই ওর্য়াল্ড এক্সপো-২০২০’ বড় বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে হবে।
 
প্রথমবার এ দু’টি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে ২০২১ সালেই ২ বিলিয়ন ডলারের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য সম্ভব হবে। একই ধারাবাহিকতা বজা রাখা গেলে ২০২৫ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সালে ১০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করা যাবে।
 
সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিটওয়্যার, তৈরি পোশাক, টেক্সাটাইল, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিকস, মাছ, মাংস, কৃষিপণ্য, হিমায়িত খাদ্য (হালাল ফুড), হালকা প্রকৌশল পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, পালকের তৈরি কৃত্রিম ফুল, ফুল, গহনা, প্লাস্টিক পণ্য ও তামাকজাত পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানি করবে।
 
অপর দিকে বাংলাদেশ এলএনজি, এলপিজি, বস্ত্র শিল্পে ব্যবহৃত প্লাস্টিক ও রাবার, রাসায়নিক ও রাসায়নিক জাতীয় পণ্য, ধাতব, যন্ত্রপাতি, বিমান ও জাহাজে পণ্য পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকৃত পাথর ও গহনা, শুকনো ফল ও ফলজাতীয় খাদ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আমদানি করবে।
 
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বাংলাদেশে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ম ডলারের রেমিটেন্স আসছে, দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য হচ্ছে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারের, গত ৫ বছরে বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার, বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় এবং রোহিঙ্গা সংকটে প্রথম সহায়তাকারী দেশ আমিরাত।
 
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম।
 
তিনি বলেন, আরব আমিরাত বাংলাদেশের অনেক পুরোনো বন্ধ‍ু। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সংযুক্ত আরব আমিরাতে সফরে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম, আগ্রহীদের বিনিয়োগের পথে কোনো বাধা থাকলে আমরা তা দূর করার চেষ্টা করবো।
 
সমাপনী বক্তব্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সবদিক দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।
 
আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের জন্য আমাদের দেশ খুবই আগ্রহী। ব্যবসার প্রবাহ বাড়াতে আমরা দুই দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য হাত বাড়িয়ে দেবো।
 
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডেপুটি হেড অব মিশন আবদুল্লাহ আল হাউমোদি, ইন্ট্রাকো গ্রুপের  ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ রিয়াদ আলী, এমিরেটস এয়ালাইনস‘র কান্ট্রি ম্যানেজার সাইদ আব্দুল্লাহ আল মিরান, ব্যাংক আল ফালাহ কান্ট্রি হেড এস এ এ মাসরুর, ইউএই-বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের এমডি এসএম বাকের, ডিসিসিআইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইমরান আহমেদ, আল হারমাইন পারফিউমস’র চেয়ারম্যান ও এমডি মাহতাবুর রহমান নাসির, বেসিস’র পরিচালক দিদারুল আলম সানী প্রমুথ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
এসই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।