তিনি বলেন, বাজার সম্প্রসারণের জন্য কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব অনেক। ইউরোপের বাজার বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (২৫ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার (২৪ মার্চ) বেলজিয়ামের বাংলাদেশ দূতাবাস ব্রাসেলস এ ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের ইউরোপের বাজারে ‘ট্রেড স্ট্রাটেজি অ্যান্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়ন বিষয়ে এক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করে বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
এসময় বেলজিয়ামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় ইউরোপে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বাণিজ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ রফতানি বাণিজ্যে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ পেপারলেস ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশ এখন পেপারলেস ট্রেডে সক্ষমতা অর্জন করেছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রফতানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধিতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ইউরোপের আমদানিকারকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশের বিশ্বমানের পণ্য সম্পর্কে ব্যাপক ধারণা দিতে হবে। ব্যবসা সহজীকরণে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ আমদানিকারকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ খুবই আন্তরিক, কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
মফিজুল ইসলাম বলেন, সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের রফতানি বাড়ছে। বাংলাদেশে পুরুষদের পাশাপাশি নারী উদ্যোক্তারাও এগিয়ে এসেছে। আগামীতে নারীদের বিশ্ব বাণিজ্যে সফলভাবে কাজ করার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এখন নারী ব্যবসায়ীর সংখ্যা অনেক। নারী ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা দিলে বাণিজ্যের পরিধি বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/