ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান

ঢাকা: দেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে শিল্প কারখানা স্থাপন ও বিনিয়োগে চীনের উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ওসামা তাসীর। 

তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাঁড়াবে। ইউনান প্রদেশ মেশিনারিজ উৎপাদনে অত্যন্ত দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছে।

এ খাতের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে আরো বেশি হারে বিনিয়োগ ও শিল্প কারখানা স্থাপনে আহ্বান জানান।

সোমবার (২৫ মার্চ) ডিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে চীনের দ্য ডিপার্টমেন্ট অব কমার্স অব ইউনান প্রভিন্সের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ইউয়ান লিনের নেতৃত্বে ১১ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে ওসামা তাসীর এ আহ্বান জানান।  

ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, হোসেন এ সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল-আমিন, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন, শামস মাহমুদ এবং এস এম জিল্লুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। ফুল চাষের বহুমুখীকরণ, দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন ও ব্যবহারে ইউনান খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স, কৃষি ও কৃষি জাতপণ্য, পর্যটন, ফুল চাষাবাদ, ওষুধ, যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমুদ্র অর্থনীতি প্রভৃতি খাতসমূহ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় এবং এ খাত সমূহে চীন ও বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা যৌথ বিনিয়োগ করতে পারে।  

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, চীন ও আসিয়ান অঞ্চলের দেশসমূহের সঙ্গে সহযোগিতা আরো বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ‘লুক ইস্ট’ নীতিমালা গ্রহণ করেছে।

চীনের প্রতিনিধিদলের দলনেতা ইউয়ান লিন জানান, ২০১৮ সালে ইউনান প্রদেশের মোট আমদানি-রফতানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রদেশটি শুধুমাত্র মেশিনারিজ পণ্য রফতানি করেছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের।

তিনি বলেন, ইউনান প্রদেশে মেশিনারিজ উৎপাদনে চীনের অন্যান্য প্রদেশের মধ্যে চতুর্থ এবং চীনের উদ্যোক্তারা এ খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে আগ্রহী। পাশাপাশি ইউনান প্রদেশ প্রচুর পরিমাণে কফি, তামাক, রাবার, ফুল প্রভৃতি উৎপাদন হয়। তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের এ ধরনের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ইউনানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, চীন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার এবং ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ৪০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আমদানি ও রফতানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১১ হাজার ৭০৬ ও ৬৯৪ দশমিক ৯৭ মার্কিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
জিসিজি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।