বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, কারখানার দক্ষ জনবলেরও অভাব রয়েছে। তাছাড়া ৯৩৩টি এমজি যাত্রীবাহী কোচের মধ্যে ৪৯২টির বয়স ৩৫ বছর বেশি।
মেরামতের কারখানার সক্ষমতার অভাবে জরাজীর্ণ কোচের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমানে ৪৫০টি মিটারগেজ কোচ শিডিউল ওভারভিউ অবস্থায় চলাচল করছে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। যাত্রী চাহিদা পূরণের জন্যই কোচগুলো বাধ্য হয়ে একাধারে চলাচল করছে, যা নিরাপদ ট্রেন পরিচালনার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রাথমিকভাবে ৪৯২টি রেল কোচের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ১০০টি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। কোচগুলো কারখানার বাইরে প্রাইভেট এজেন্সির মাধ্যমে মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে স্বল্প সময়ে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে কোচ মেরামত করা সম্ভব নয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, যাত্রীবাহী কোচের বৈদেশিক স্পেয়ার পার্টস সংগ্রহের জন্য তিনটি প্যাকেজ ও স্থানীয় সংগ্রহের জন্য ৩৬টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্যাকেজ করা হয়েছে। সমজাতীয় স্পেয়ার পার্টস নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি প্যাকেজ।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জেল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, একটি এমজি কারখানায় বছর ৫০টি কোচ মেরামত করা সম্ভব হয়। একবার কোচ মেরামত করলে ১২ বছর সেবা দিতে পারে। বিভিন্ন শিডিউল ভাগ করে এগুলো মেরামত করতে হয়। কিন্তু পুরো রেলখাত এক সময় অবহেলিত ছিল। এর মাশুল আমাদের দিতে হচ্ছে। তবে নতুন নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। যাতে করে কোচগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা যায়।
তিনি আরো বলেন, পুরাতন কোচগুলো যাতে আরো বেশি সেবা দিতে পারে সেই লক্ষ্যে কিছু কোচ বেসরকারি উদ্যোগে মেরামত করবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমআইএস/এএ