বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মেলায় থাইল্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফলের বিরাট সমাহার দেখা গেছে। বাংলাদেশের বাজারে এসব পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
ফলের স্টলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দর্শনার্থী। তবে দাম তুলনামূলক কম হলে ক্রেতার আগ্রহ আরও বাড়তো বলে দাবি দর্শনার্থীদের। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন আমদানিতে খরচ বেশি পড়ায় দাম একটু বাড়তি রয়েছে।
থাইমেলায় নজরকাড়া ফলের মধ্যে রয়েছে থাই ডুরিয়ান, থাই আম, থাই পেঁপে, রকমিলন, সুইট ম্যাংগো, হানি মিলন, কমলা, মিষ্টি তেঁতুল, থাই রাম্বুটান, চেরি ম্যাঙ্গো, থাই ড্রাগন, ম্যাঙ্গো স্টিন। এসব ফল কেজি প্রতি ৫০০ টাকার উপরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এছাড়া ড্রাই ফুডের মধ্যে রয়েছে সাকুরা প্লাম, এপ্রিকট, পেঁপে, তেঁতুল, কোকোজো জুস, হজলি বিন ইত্যাদি। বোতলজাত এসব ড্রাই ফুড প্রতি মূল্য রাখা হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
মেলায় আসা শাকিয়া জান্নাত নামে এক দর্শনার্থী বলেন, থাই পণ্যের কদর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে। গুণে-মানে সেরা। তবে ফলের দাম আরও কম হলে ক্রেতার সাড়া আরও বেশি পাওয়া যেতো।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, আমদানির কারণে খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে।
ব্যালন কনফেকশনারি কোম্পানির বিক্রেতা আলতাফ হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আমরা সব সময় চেষ্টা করি সাধ্যের মধ্যে ক্রেতাদের কাছে পণ্য তুলে দিতে। তবে আমদানি করে আনার কারণে খরচ কিছুটা বাড়তি যোগ হয়েছে। তবে ভিন্নমত পোষণ করেন থাই বিমসটেকের বিক্রেতারা।
তারা বলেন, আমাদের সব ফলের দাম ক্রেতার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে। মূল্য তালিকা আছে ক্রেতারা সেভাবেই তাদের পছন্দের পণ্য কিনতে পারছেন।
বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলার পর্দা নামবে আগামী ৩০ মার্চ। এবারের মেলায় মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
ইএআর/এএটি